Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ২ ঘন্টা আগে
  • ৫১ বার দেখা হয়েছে

পলাশবাড়ীর কোমরপুরে শিবসহ শতাধিক দেবদেবীর নান্দনিক মন্দির

পলাশবাড়ীর কোমরপুরে শিবসহ শতাধিক দেবদেবীর নান্দনিক মন্দির

ভবতোষ রায় মনা►

হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবার নজর কেড়েছে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালী মন্দির। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের মধ্যরামচন্দ্রপুর (নয়াপাড়া) গ্রামের এই মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে ৩০ ফুট উচ্চতা শিব বিগ্রহসহ ১৪৪টি দেব-দেবীর প্রতিমা। নান্দনিক কারুকাজে সাজানো এ সুবিশাল মন্দিরটি এখন সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে শুধু ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, হয়ে উঠেছে সনাতন ধর্মের মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় মিলন মেলার তীর্থ স্থান। প্রতিদিনেই মন্দির দেখতে আসছেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভক্ত আর দর্শনার্থীরা।

পলাশবাড়ী উপজেলার কোমরপুরের মধ্যরামচন্দ্রপুর (নয়াপাড়া) গ্রামে মন্দিরের প্রবেশপথে চোখে পররে খালের ওপর আধুনিক ডিজাইনের একটি ব্রিজ, সু-কারুকার্য গেট হয়ে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে বিশাল আকৃতির দেশের সবচেয়ে বড় ৩০ ফুট উচ্চতা শিব বিগ্রহ। দেখে মনে হবে প্রবেশ মুখেই যেন দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছেন। শুধু শিব মূর্তি নয়, মন্দিরে কৃষ্ণ, দেবী কালী, শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবা, শিব-পার্বতী, রাধা-কৃষ্ণসহ প্রায় ১৪৪ ধরনের বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি। এখন প্রতিমা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। হরিনাম কীর্তনের স্থানসহ গোটা মন্দির এলাকা জুড়ে রয়েছে আধুনিক ডিজাইনের নানা ধরনের রঙিন ফুলের বাগান ও মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন কারুকাজ। চা-কফি চত্বরসহ শিশুদের জন্য সুইমিং পুল ও বিনোদনের খোলা পরিবেশ। 

কালি মন্দিরের সিঁড়িতে রয়েছে ব্যাতিক্রমি ঝর্ণাধারা। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে পানির ঝর্ণা ধারায় পা ভিজিয়ে দেবতার কাছে গিয়ে ভক্তরা করছেন ধর্মীয় অর্চনা। প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভিড় করছেন এখানে। সবার জন্য রয়েছে প্রসাদের ব্যবস্থা। চোখে পড়বে শত শত ভক্তদের এক সাথে সারাদিন প্রসাদ গ্রহণের বিরল দৃশ্য। শুধু উপাসনার স্থান নয়, সনাতন ধর্মের মানুষের বিনোদনেরও এক অনন্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই মন্দির। দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভক্ত আর দর্শনার্থীরা পাচ্ছেন ধর্মীয় শান্তি আর আনন্দের এক বিরল অভিজ্ঞতা।

নওগাঁ থেকে মন্দির দর্শনের আসা সঞ্জয় কর্মকার জানান, এখানে এসেই মন জুড়িয়ে গেল। মন্দির ও প্রতিমাগুলো এত সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবে। এতো এক তীর্থস্থান। ময়না রায় জানান, মন্দিরটি আসলেই দেখার মত। যেই এখানে আসবে, তার মন ভালো হয়ে যাবে। সবচেয়ে ভালো লাগলো বারবার মাইকে প্রচার করা হচ্ছে প্রসাদ না নিয়ে কোনো ভক্তবৃন্দ যাবেন না।

পলাশবাড়ি শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালি মন্দির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী হরিদাস বাবু বলেন, এখানে গড়ে তোলা হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম, আবাসিক ব্যবস্থা, ধর্মীয় শিক্ষালয়, মেডিকেল কলেজ-যা মন্দিরকে পরিণত করবে ধর্মের পাশাপাশি সামাজিক কেন্দ্রবিন্দুতে। জীবনের সব আয় দিয়ে ধর্ম ও মানুষের মাঝে সারা জীবন বেচে থাকতে এমন মন্দির তৈরির উদ্দ্যোগ নিয়েছেন তিনি। ২শ ১৭ শতাংশ জমি জুড়ে নির্মিত বিশাল এ মন্দিরটি গেল ৭ মাস থেকে ব্যাক্তিগত অর্থায়ানে তৈরি শুরু করেছেন পলাশবাড়ি উপজেলার মধ্য রামচন্দ্রপুর গ্রামের গোপি মোহন বাবুর ছেলে শ্রী হরিদাস বাবু।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad