নিজস্ব প্রতিবেদক►
‘আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে আজ (শনিবার, ৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের সাতানা আলোর ঘর স্কুল মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘আমরাই পারি’ ও ‘অবলম্বন’ যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
সকালে সাঁওতাল নারী-পুরুষরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এরপর আলোচনা সভা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আদিবাসী নেত্রী লক্ষ্মী মুর্মুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের সাঁওতালসহ অন্যান্য আদিবাসী জনগোষ্ঠী আজও মানবাধিকার এবং জীবনমানের দিক থেকে বহুলাংশে বঞ্চিত। এ কারণে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর তুলনায় পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত। বক্তারা আরও বলেন, সমতলের আদিবাসীরা বিলুপ্তির পথে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিও হারিয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ আদিবাসী ভূমিহীন হওয়ায় তারা দেশের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এসময় তারা আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠন, এবং তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ অন্দোলন- গাইবান্ধার সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, সাংস্কৃতিক কর্মী মানিক বাহার, নারী নেত্রী নাজমা বেগম, আদিবাসী নেতা গৌড় চন্দ্র পাহাড়ি, সুশীল টপ্য, আদিবাসী ইয়ু্থ অতীত সরেন, আরিনা টপ্য প্রমুখ।