পিআইডি, রংপুর►
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের সংগ্রামী ও সফল নারীদের আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ‘অদম্য নারী পুরষ্কার’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় রংপুর বিভাগের ৪০ জন অদম্য নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
এই উপলক্ষ্যে আজ (মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি) সকালে রংপুর পর্যটন মোটেল মিলনায়তনে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহিদুল ইসলাম। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, রংপুর এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহাপরিচালক বলেন, আজকের পুরস্কারপ্রাপ্ত নারীরা প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। এই প্রাপ্তি সমাজের সকল নারীর জন্য অনুপ্রেরণা। নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিন বলেন,সরকার নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, বাল্যবিবাহের মতো সমস্যাগুলো এখনো বড়ো চ্যালেঞ্জ। নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পুরুষদের সচেতনতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এমন একটি সমাজ তৈরি হবে যেখানে নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করবেন এবং সমানভাবে নিরাপত্তা ও মর্যাদা উপভোগ করবেন।
সভাপতির বক্তৃতায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ একটি বিশেষ উদ্যোগ। এই অনুষ্ঠানে পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ৪০ জন মহীয়সী নারীর পুরস্কারপ্রাপ্তি সত্যিই প্রশংসনীয়। বিজয়ী নারীদের কাজ ও মেধা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে মেধা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে তিনি নারীদের বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মজিদ আলী, রংপুরের জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, রংপুর বিভাগের অদম্য নারী এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের ৪০ জন অদম্য নারীর মধ্য থেকে পাঁচজনকে শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। শ্রেষ্ঠ অদম্য নির্বাচিত নারীরা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে মাছুমা খানম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে মোছাঃ ফারহানা বিনতে আলম, সফল জননী ক্যাটাগরিতে মেরিনা বেসরা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু ক্যাটাগরিতে হোসনে আরা বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান ক্যাটাগরিতে এ্যাড. আঞ্জুমান আরা শাপলা।