Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৭-৮-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৫:১২
  • ৭৬ বার দেখা হয়েছে

গাইবান্ধায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ আর পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ছাত্র-জনতার অভিযান

গাইবান্ধায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ আর পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ছাত্র-জনতার অভিযান

আবু সায়েম►

মাত্র কয়েক দিন আগেও যেখানে লাঠি হাতে অধিকার আদায়ে নেমেছিলেন তারা, সেই তারাই এবার মাঠে ভিন্ন ভূমিকায়। যারা ছিলেন কলম হাতে নিজের সুন্দর জীবন গঠনের পথে, তারা এবার নামলেন সুন্দর শহর গড়তে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলমান অস্থিরতায় যখন প্রায় সব জায়গায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। কর্মবিরতীর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। তখন এমন পরিস্থিতিতে গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতাকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।

আজ (৭ আগস্ট) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে চলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। এসময় তারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে যানবাহন চালকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার অনুরোধ করতে দেখা যায় তাদের।  

শহরের বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ডিবি রোডে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছিলেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও সাধারণ ছাত্র-জনতা। এ সময় কথা হয় শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ -তীর সাবেক সভাপতি জিসান মাহমুদ, লাল সবুজ সোসাইটির সভাপতি লিংকন ইসলাম জয়, রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ইউনিটের সাবেক সভাপতি সাগর আহমেদ, সৃজনশীল গাইবান্ধার মেহেদি হাসানসহ আরও কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতার সাথে।

পরিচ্ছন্নতা অভিযান সম্পর্কে তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে দেশ কলঙ্কমুক্ত করেছে। আমরা চাই সুন্দরভাবে দেশ চলুক। দেশের এ পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থীরা সাধারণ মানুষের পক্ষে থাকতে চাই। সবাই সচেতন হলে একটি সুন্দর দেশ গঠন করা সহজ হবে। আমরা গাইবান্ধাকে একটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

তারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ঘোষণা দিয়েছেন- শিক্ষার্থীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য। আমরা তাতে সাড়া দিয়েছি। অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক সংগঠনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত আমরা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সাধ্যমতো পাশে থাকব।

শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তারা বলেন, এখন যেহেতু ট্রাফিক নেই, তাই সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য সকাল থেকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছি। মানুষের জন্য এ কাজ করতে পেরে নিজেকে আমরা ধন্য মনে করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad