মাধুকর ডেস্ক ►
গাজা উপত্যকায় জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই শিশু। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন।
আজ সোমবার (২৩ আক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয় গতকাল রবিবার (২২ অক্টোবর) গভীর রাতে গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের আল-শুহাদা এলাকার ওই ভবনটিতে হামলা চালানো হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বোমায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ৩০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সেখানকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা ইউনিট আল জাজিরাকে জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় উপত্যকায় আটটি শরণার্থীশিবিরের মধ্যে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরটি বৃহত্তম এবং এখানকারই একটি আবাসিক ভবনে রোববার গভীর রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলার পরে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর একটি হলো জাবালিয়া শরণার্থীশিবির। এখানে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। এছাড়া গতকাল রাতে গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা বাড়িয়েছে ইসরাইলের বিমানবাহিনী।
এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলের বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের হাসপাতাল সূত্রগুলো এই কথা জানিয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, ইসরাইলি ওই বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়েছেন। গাজার হাসপাতালগুলো বলছে, তারা আহতদের চিকিৎসা করতে কার্যত লড়াই করছে।
উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক আল জাজিরাকে বলেছেন, আমরা ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকটে ভুগছি।
উল্লেখ্য, গত ২০শে অক্টোবর জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। সে সময় অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আল জাজিরা এই তথ্য জানায়। গত ৯ অক্টোবর একই শরণার্থীশিবিরে বোমা হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।