আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ ►
অবশেষে আধুনিকায়নের মাধ্যমে নতুন সাজে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একমাত্র শিশু পার্কটি। পার্কটি শিশুবান্ধব করতে স্থাপন করা হয়েছে নতুন নতুন রাইড। শিশুদের প্রিয় দোলনা, ঢেঁকিসহ অন্যান্য খেলনাও স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে শাহাদাত হুসেইন উপজেলায় যোগদানের পরই বছরের পর বছর গণশৌচাগার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া শিশু পার্কটিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে শিশুবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
উপজেলার কোথাও শিশুদের বিনোদনের জন্য ছোট হলেও একটি শিশু পার্ক নেই যেখানে শিশুরা গিয়ে খোলা পরিবেশে খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ্য বিনোদন গ্রহণ করতে পারে। এমন যান্ত্রিক সময়ে উপজেলার এই শিশু পার্কটি সুস্থ্য পরিবেশে শিশুদের বড় হতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে এমনটাই মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন ক্যান্সারের চেয়েও ক্ষতিকর বর্তমান মোবাইল আসক্তির যুগে শিশুদের সুস্থ্য বিনোদনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলার জন্য শিশু পার্কের কোন বিকল্প নেই। উপজেলায় যোগদানের পর দেখতে পাই যে, উপজেলা চত্বরের অভ্যন্তরে বসবাসকারী পরিবার ও উপজেলার আশেপাশের শিশুদের বিনোদনের একমাত্র পার্কটি বছরের পর বছর সংস্কার না করার কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। শিশুদের পাশাপাশি বড়দের হাটার জন্য কিংবা বিকেলে একটি নিরিবিলি পরিবেশে বসে সময় কাটানোর মতো কোন পরিবেশ উপজেলায় নেই। তাই উপজেলার বরেন্দ্র গেইট সংলগ্ন এই পরিত্যক্ত শিশু পার্কটি যদি আধুনিকায়নের মাধ্যমে শিশুবান্ধব করা যায় তাহলে মুক্ত পরিবেশে শিশুদের খেলাধুলার মাধ্যমে বিনোদন গ্রহণের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও মুক্ত পরিবেশে সময় কাটানোর একটি সুন্দর ও ছিমছাম পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব এমন চিন্তা থেকেই পার্কটিকে সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করি।
তারই ধারাবাহিকতায় পার্কটির আধুনিকায়নের সকল কাজ প্রায় শেষের দিকে। আশা রাখি দ্রুতই ছোটখাটো আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে পার্কটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করতে পারবো। শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্কটিতে অনেক রাইড স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে আরো নতুন নতুন কিছু স্থাপন করা হবে। বড়দের বসার জন্যও সিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাছগুলোতে রং করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি আজ এখানে আছি কাল থাকবো না কিন্তু আমি উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে আজ পার্কটিকে ব্যবহার উপযোগী করে দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু আগামীতে এই পার্কটি ব্যবহারের উপযোগী করে রাখতে রক্ষনাবেক্ষণের অনেকটা দায়িত্ব স্থানীয়দেরও রয়েছে। তাই আমি সকল অভিভাবকদের শিশুদের হাতে মোবাইল না দিয়ে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কিছু সময়ের জন্য হলেও এই পার্কে এসে সময় কাটানোর আহ্বান জানাচ্ছি। এতে করে শিশুরা যেমন সুস্থ্য বিনোদনের সুযোগ পাবে তেমনি ভাবে বড়রাও কিছু সময়ের জন্য নিরবিলি মনোরম পরিবেশে হাটাহাটি করার মাধ্যমে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন।