• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৪-৪-২০২৪, সময়ঃ দুপুর ০১:৪৭
  • ১৯ বার দেখা হয়েছে

সৈয়দপুরে তীব্র গরমে হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগী

সৈয়দপুরে তীব্র গরমে হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগী

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর

নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত ৩ দিনে প্রায় ৮০০ শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। প্রতিদিন শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু শয্যা সংকটে ভোগান্তিতে রোগীসহ স্বজন,  চিকিৎসক ও সেবাকর্মীরা।

এক বছরের শিশু মেসবান ৩-৪ দিনের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ডাইরিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশুটির মা আমেনা বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরে বাচ্চার জ্বর।এরপর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত।

বেবি নামের অপর এক নারী বলেন, তাঁর ৬ বছরের শিশু আরমান হোসেন, গত তিন দিনের গরমে ১০২ ডিগ্রি জ্বরের পর ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। 

হাসপাতালের ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয়ের চিকিৎসায় জ্বরের সাথে সাথে ডাইরিয়াটাও কমেছে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি  অধিকাংশ শিশুই মেসবান ও আরমানের মত অবস্থা। 

হাসপাতালের সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪ থেকে ৫ শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এর মধ্যে অর্ধেক রোগীই হলো শিশু। গড়ে প্রতিদিন ৭০-৮০ শিশু জ্বরের পর ডাইরিয়ায় আক্রান্তে ইনডোরে ভর্তি হচ্ছে। 

গত ৩-৪ দিন থেকে ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করায় অসুস্থ হওয়া শিশুদের নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাবা মায়েরা ছুটছেন হাসপাতালে। কিন্তু শয্যা সংকটের কারনে কেউ কেউ মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন, আবার অনেকেই অসুস্থ শিশুকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। 

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আফরোজা সিমু জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় রোগীর চাপ বেড়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮০%। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। কেউ কেউ মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিলেও শয্যা সংকটের কারনে সব রোগী ভর্তি নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, গরমের তীব্রতা বাড়লে হিট ষ্ট্রোক হতে পারে। এজন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শরীর থেকে পনি শুন্যতা রক্ষায় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর মুখ ও ঘাড় ভিজিয়ে নিতে হবে। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, এ বছর যেভাবে গরম পড়েছে, তাতে শিশুদের অবস্থা কাহিল। তীব্র গরমে শিশুদের প্রথমে জ্বর, এরপর ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক শিশু ডাইরিয়ার সাথে নিউমোনিয়া রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে।

তবে ভয়ের কিছু নেই। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সেবার ব্যাবস্থা আছে। শয্যা সংকট হলেও ঔষধ সংকট নেই। তবে প্রতিটি বাবা - মাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এরপরেও যদি শিশুর জ্বর, কাশি, ডাইরিয়া ও শাসকষ্ট হতে দেখা যায়। তাহলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়