সুুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গত এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় অবিরাম বর্ষনের তোড়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর নির্মানাধীন পাঁচপীর- সুন্দরগঞ্জ সংযোগ সড়ক ধসে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে ছোটখাট যানবাহন ও পথচারীগণ।
পূর্বাঞ্চলের সাথে উপজেলা শহরের যোগাযোগের একমাত্র রুুট হচ্ছে এই সড়কটি। প্রতিদিন হাজার যানবাহন ও পথচারী এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকেন। তিস্তা পিসি গার্ডার সেতেু পয়েন্ট হতে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটারের এই সড়কের প্রায় ২০টি স্থানে সড়ক ধসে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ধসে যাওয়ার এক সপ্তাহ গত হলেও এখন পর্যন্ত মেরামতের কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি কর্তপক্ষ।
বেলকা মজিদ পাড়া গ্রামের পথচারী আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কটির কাজ ধীরগতিতে হওয়ার কারনে বার বার বন্যার সময় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে যানবাহ নিয়ে চলাচল করা খুবেই বিপদজনক হয়ে পড়েছে।
হরিপুর বিবিসি মোড়ের ব্যয়সায়ী রায়হান মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহ আগে প্রচন্ড আকারে বৃষ্টির কারনে বিবিসির মোড়ে সড়কটি ধসে যায়। সেই থেকে এই সড়কটি দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ছোট যানবাহন সমুহ ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। তিনি অতিদ্রুত ঈদের আগে সড়কের ধসে যাওয়া গর্ত সমুহ মেরামত করার জোর দাবি জানান।
হরিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, ২০১৭ সাল হতে সড়কটির নির্মাণ কাজ চলছে। প্রতিবছর বৃষ্টি-বাদল ও বন্যার সময় এই ধরনের বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন হতে পূর্বাঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। গত এক সপ্তাহের বন্যায় সড়কটির হরিপুর ও বেলকা এলাকায় প্রায় ২০ হতে ২৫টি স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের কারনে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় তিস্তার চরবাসির লালন পালন করা কুরবানির পশু দেশের বিভিন্ন জেলায় নিতে পারছে না। এটি মেরামত করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব জানান, বৃষ্টির কারনে সড়কটি ধসে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সে কারনে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত কষ্ট করে পায়ে হেঁটে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। সড়কটি মোমত না করলে দূর্ঘটনার কবলে অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঠিকাদার খাইরুল কবির রানা জানান, বৃষ্টির কারনে নির্মানাধীন সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে অতিদ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অজ্ঞত কারনে নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে চলছে।
উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন খান জানান, ইতিমধ্যে সড়কটি ধসে গিয়ে যেসব গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, তা মেরামতের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জোর তাগাদা দেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২ হতে ৩ দিনের মধ্যে মেরামত সম্পন্ন হয়ে যাবে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, তিনি সবেমাত্র এই উপজেলায় যোগদান করেছেন। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জনস্বার্থে সড়কটির গর্ত মোমতের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ টাকা। সেতুর উভয় পাশে^ সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার।