• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১০-৩-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১১:০৭
  • ৬১ বার দেখা হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে প্রাথমিকের প্রধানসহ ১০০ শিক্ষকের পদ শূণ্য

সুন্দরগঞ্জে প্রাথমিকের প্রধানসহ ১০০ শিক্ষকের পদ শূণ্য

এ মান্নান আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ

যে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান না থাকলে আসলে সেই প্রতিষ্ঠান ভাল ভাবে চলে না এটাই সত্য। আর সেটি যদি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা হলে তো সেখানে সমস্যার অন্ত নেই। সহকারিরা মানতে চায় না আরেক সহকারিকে। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের কাজে কমবেশি প্রতিদিন বাইরে থাকতে হয় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে। সে কারনে পাঠদানসহ দাপ্তরিক কাজ বিঘ্নিত হয়ে আসছে। 

কথাগুলো বলছিলেন সুন্দরগঞ্জের কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক মো. রফিকুল ইসলাম। তার ভাষ্য প্রায় দুই বছর ধরে বিদ্যালয়টির প্রাধান শিক্ষক অবসর গ্রহন করেছেন। আজও প্রধান শিক্ষকের পদটি পুরুন হয়নি। পাঠদান নেই বললে চলে প্রতিষ্ঠানটিতে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান নিন্মমুখী হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষক স্থানীয়ও হওয়ায় কেউ কাউকে মানছেন না। নিজের ইচ্ছামত চলছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সরকারি ও নবসরকারি মিলে মোট প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৫৯টি। এর মধ্যে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানে নেই প্রধান শিক্ষক এবং ৫৭টি সহকারি শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। বহুবার শুন্য পদের চাহিদা পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত পদ সমুহ পুরুনের ব্যবস্থা হয়নি।

বেলকা ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার সরকার জানান, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি শুন্য রয়েছে। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার ভাষ্য কোন প্রতিষ্ঠানে  প্রধান না থাকলে ক্ষণিকের জন্য হলেও সমস্যার সৃষ্টি হবে। যে হেতু প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারি নেই, সে কারনে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অফিসিয়াল কাজ করার জন্য উপজেলা শহরে যেতে হয়। পদোন্নতি বা নিয়োগের মাধ্যমে হলেও জরুরী ভিত্তিত্বে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ পুরুন একান্ত প্রয়োজন।

সহকারি শিক্ষক মো. আলম মিয়া জানান, প্রতিষ্ঠান প্রধান না থাকলে সহকারি শিক্ষকদের মধ্যে একটু মতবিরোধ দেখা দেয়। তবে এ জন্য পাঠদান বিঘ্নিত হওয়ার কোন অবকাশ নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের অন্তরিকতার অভাবে মতবিরোধ থাকতে পারে। তবে শুন্যপদ পুরুন একান্ত প্রয়োজন। 

পঞ্চম শ্রেনির শিক্ষার্থী মোছা. ফারজানা আক্তার জানান, হেড় স্যার সকল কিছুর খোঁজ খবর রাখেন। ক্লাসও ভাল হয়। হেড় স্যার একটি স্কুলের প্রাণ।

সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. আশিকুর রহমান জানান, অবসর জনিত কারনে দীর্ঘদিন হতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পদগুলো শুন্য হয়ে রয়েছে। পদোন্নতি না হওয়ার কারনে শুদপদগুলো পুরুন হচ্ছে না। শিক্ষক সংকটের কারনে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে সমস্যা রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শুন্য পদ পুরুনে বহুবার চাহিদা পাঠানো হয়েছে। পদোন্নতি বা নিয়োগের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের পদসমুহ পুরুন সম্ভব। আশা করা হচ্ছে আগামি এক সমাসের মধ্যে সহকারি শিক্ষকের শুন্যপদ পুরুন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়