সুুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের আতিকুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন, লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে সঞ্জয় কুমার সরকারকে মারপিট ও তার বসতবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। সঞ্জয় কুমার সরকার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি ওই গ্রামের অধিত চন্দ্র সরকারের ছেলে। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে প্রতিপক্ষের তিনি এই হামলার শিকার হন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারের বসতবাড়ি যাতাযাতের রাস্তা নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে পারিবারিকভাবে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরধরে সোমবার যাতাযাতের রাস্তাটির মাটি কেটে অন্যাত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা প্রদান করেন। এতে বিবাদীগণ তাকে গালিগালাজসহ বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করেন। এরপর ওইদিন বিকেলে সঞ্জয় কুমার সরকারের বসতবাড়িতে বিবাদীগণ পূনরায় এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ।
এসময় তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলিয়ে দিয়ে মারপিটকরেন এবং তার বসতবাড়ি ভাংচুর করেন। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করলে বিবাদীগণ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। এনিয়ে বুধবার সঞ্জয় কুমার সরকার নিরুপায় হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন, তারাপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন ছেলে আতিকুর রহমান, আইয়ুব আলী ছেলে সাদ্দাম হোসেন, আনছার আলী ছেলে লিটন মিয়া।
অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা আমাকে মারার জন্য আমার বসতবাড়িতে এসে গালাগালি ও মারপিট করেন এবং আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি প্রদান করেন।
থানা ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, মারপিটের বিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনার সত্যতা সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।