Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৮-২-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:২১

সাঘাটায় বাঁধের সংস্কার কাজে বাধা বিদ্যুতের খুটি

 সাঘাটায় বাঁধের সংস্কার কাজে বাধা বিদ্যুতের খুটি

সাঘাটা(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি ►

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। বাঁধ থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য চিঠি দেয়ার পরও পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ বিষটি আমলেই নিচ্ছেন না।  এদিকে বিদ্যুতের খুটির কারণে সংস্কার কাজে বিঘœ ঘটছে বলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের বাঁশহাটার পুটিমারী এলাকা হতে  জুমারবাড়ী ইউনিয়নের বসন্তের পাড়া এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কি:মি: বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধটির অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার লক্ষে দীর্ঘ ৫৭ বছর পর ২৩ কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দ ধরে পূন:সংস্কার ও রক্ষণা-বেক্ষন প্রকল্প গ্রহন করেছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড। সে লক্ষে বাঁধের ওপর থেকে বাড়ি-ঘর,পল্লী বিদ্যুতের খুটি, বিভিন্ন দোকানঘর সহ সকল স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড নোটিশ দিলে লোকজন বাঁধের  বাড়ি-ঘর সহ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে বাঁধ দখলমুক্ত করলেও বাঁধ জুঁড়ে থাকা অসংখ্য বিদ্যুতের খুটি সরিয়ে নেয়া হয়নি। প্রকল্পটির  ৩টি প্যাকেজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বাঁধে মাটি কাটার কাজ শুরু করে। কিন্তু প্রকল্প এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের খুটি থাকার কারণে সংস্কার কাজ বিঘিœত হচ্ছে বলে কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে ।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মজিবর রহমান বলেন, ১৫ কি:মি: বাঁধ জুঁড়ে বাঁধের উপরে ও দু’ধারে বিদ্যুতের খুটি রয়েছে। এসব বিদ্যুতের খুটি সরিয়ে নেয়ার জন্য গত বছর মে মাসে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে আবার মৌখিক ভাবে কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলেই নিচ্ছেন না।

এদিকে সারা বাঁধ জুঁড়ে বিদ্যুতের খুটির কারণে বাঁধের উপরের মাটি কমপেক্সশন করা যাচ্ছে না বলে প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত লোকজনে অভিযোগ। বাঁধের এসব বিদ্যুতের খুটি সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুতের বোনারপাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামরুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিঠি অস্বীকার করে বলেন, চিঠি পেলে বিষটি দেখা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৮-২-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:০৮

সাঘাটায় বাঁধের সংস্কার কাজে বাধা বিদ্যুতের খুটি

সাঘাটায় বাঁধের সংস্কার কাজে বাধা বিদ্যুতের খুটি

সাঘাটা প্রতিনিধি ►

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। বাঁধ থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য চিঠি দেয়ার পরও পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ বিষটি আমলেই নিচ্ছেন না।  এদিকে বিদ্যুতের খুটির কারণে সংস্কার কাজে বিঘœ ঘটছে বলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের বাঁশহাটার পুটিমারী এলাকা হতে  জুমারবাড়ী ইউনিয়নের বসন্তের পাড়া এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কি:মি: বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধটির অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার লক্ষে দীর্ঘ ৫৭ বছর পর ২৩ কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দ ধরে পূন:সংস্কার ও রক্ষণা-বেক্ষন প্রকল্প গ্রহন করেছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড। সে লক্ষে বাঁধের ওপর থেকে বাড়ি-ঘর,পল্লী বিদ্যুতের খুটি, বিভিন্ন দোকানঘর সহ সকল স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড নোটিশ দিলে লোকজন বাঁধের  বাড়ি-ঘর সহ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে বাঁধ দখলমুক্ত করলেও বাঁধ জুঁড়ে থাকা অসংখ্য বিদ্যুতের খুটি সরিয়ে নেয়া হয়নি। প্রকল্পটির  ৩টি প্যাকেজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বাঁধে মাটি কাটার কাজ শুরু করে। কিন্তু প্রকল্প এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের খুটি থাকার কারণে সংস্কার কাজ বিঘ্ন হচ্ছে বলে কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে ।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মজিবর রহমান বলেন, ১৫ কি:মি: বাঁধ জুঁড়ে বাঁধের উপরে ও দু’ধারে বিদ্যুতের খুটি রয়েছে। এসব বিদ্যুতের খুটি সরিয়ে নেয়ার জন্য গত বছর মে মাসে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে আবার মৌখিক ভাবে কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলেই নিচ্ছেন না। এদিকে সারা বাঁধ জুঁড়ে বিদ্যুতের খুটির কারণে বাঁধের উপরের মাটি কমপেক্সশন করা যাচ্ছে না বলে প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত লোকজনে অভিযোগ।

বাঁধের এসব বিদ্যুতের খুটি সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুতের বোনারপাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামরুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিঠি অস্বীকার করে বলেন, চিঠি পেলে বিষটি দেখা হবে।

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad