Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৭-২-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:০৭

সরকারি পুকুর ভরাট করে ১৯টি পাকা স্থাপনা তৈরি

সরকারি পুকুর ভরাট করে ১৯টি পাকা স্থাপনা তৈরি

জলঢাকা সংবাদদাতা

জলঢাকা উপজেলা পরিষদের ভেতরে থাকা সরকারি পুকুরটি ভরাট করে ১৯টি পাকা স্থাপনা তৈরি করেছে শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তৈরিকৃত দোকানগুলো বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সদস্য। 

তবে এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলছেন, সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে ইউএনওর অনুমতি নিয়েই পরিষদের উন্নয়নের স্বার্থে পুকুর ভরাট করে মার্কেট করা হয়েছে। তবে এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। একপর্যায়ে কোনো কিছু না বলেই পরিষদ ত্যাগ করেন। এরপর থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।  

 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের ১০৮ শতাংশ জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশজুড়ে রয়েছে একটি পুকুর। এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করতেন। জরুরি ভিত্তিতে যেখানে পুকুরটি খনন করা প্রয়োজন, সেখানে ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করছেন চেয়ারম্যান। অথচ জলাধার সংরক্ষণ আইনে এভাবে কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী ও খাল ভরাট করার নিয়ম নেই। এ ছাড়া নিয়মবহির্ভূত এ কাজে ভবিষ্যতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। তাই অবিলম্বে পুকুরটি পুনর্খননের দাবি জানিয়েছেন তারা। 


ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা খোকন, মজু মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান বুলু জানান, এক বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে সরকারি জায়গায় পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ টেন্ডার হয়নি। সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ আসেনি। চেয়ারম্যান নিজেই অর্থ বিনিয়োগ করছেন। কাজ করাচ্ছেন নিজের লোকজন দিয়ে। দোকানগুলোর ভাড়ার টাকা কীভাবে তোলা হবে, কোথায় জমা হবে  কিছুই জানানো হয়নি তাদের। একক সিদ্ধান্তে কাজটি করায় এর দায় তাঁকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সদস্যরা।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন, সরকারি খাসজমি দেখভালের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)। যদি যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুকুরটি ভরাট করা না হয়ে থাকে, তাহলে এতদিনে তাদের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তবে পরিবেশ ও পরিস্থিতিগত কারণে অনেক সময় সব নিয়ম মেনে উন্নয়নমূলক কাজ করা যায় না। হয়তো ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে চেয়ারম্যান এ কাজটি করছেন বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যান।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে  তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদনে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad