Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১-২-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৪:৩৯

সবুজের সমারোহে উঁকি দিচ্ছে আমের সোনালী মুকুল

সবুজের সমারোহে উঁকি দিচ্ছে আমের সোনালী মুকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক ►

বিদায় নিচ্ছে শীতকাল। প্রকৃতির আপন খেয়ালে বসন্তের আগমন ঘটতে আর মাত্র কয়েকদিন। ফাগুনের আগুন রাঙিনরুপে সাজবে প্রকৃতি। ফুলে ফুলে সুবাসিত হবে চারদিক। মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত হয়ে পরবে।

'আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা / ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে / মামার বাড়ি যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে / আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে / রঙিন করি মুখ...।' পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের 'মামার বাড়ি' কবিতার পংক্তিগুলো বাস্তব রূপ পেতে আর কয়েক দিন মাত্র।

মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে প্রকৃতি, এখনই গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। ফুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ চারদিক।

গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় বাড়ির আঙিনায়, পুকুরপাড়ে, বাগান সহ সকল আম গাছে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে যাচ্ছে। ছোট-বড় প্রায় সকল গাছ মুকুলে ভরে গেছে স্থানীয় দেশি জাত সহ , ফজলি, লতাই ,ন্যাংড়া,আমরুপালীসহ নানা জাতের আম গাছে এসেছে পর্যাপ্ত মুকুল। মুকুল আসলে অনেকেই গাছে স্প্রে করার জন্য ভ্রাম্যমাণ স্প্রে এর অপেক্ষায় আছে ,কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে স্প্রে করে থাকে।

গাইবান্ধার সদর উপজেলায় বিভিন্ন নার্সারিতে কথা বললে তারা বলেন, মুকুল আসার সাথে সাথে মুকুলে সকালে পানি স্প্রে করতে হয় ও হালকা কীটনাশক স্প্রে করা দরকার, কুয়াশা বেশি হলে আমের মুকুল নস্ট হয়ে ঝরে পড়ে। মুকুল থেকে গুটি ধরার পরে গাছে পিপড়া লাগতে পারে পিঁপড়া আমের গুটি ক্ষতিসাধন করে থাকে । তবে এ বছরের প্রথমে গাইবান্ধায় কুয়াশা বেশি থাকায় আমের ফলনের কিছুটা কম হলেও অন্য বছরের তুলনায় ভালো ও বেশি হোক সেই প্রত্যাশা করি।

স্থানীয় আম বাগানের মালিক জান্নাতুর রহমান বলেন, আমরা আশা করি এবার আমের বাম্পার ফলন হবে,আমাদের আম গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন বাজারে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন শহরে ও বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়, আরো বলেন এই বছর মুকুল আসার মুহুর্তে বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর আমের মুকুল তাপে পুড়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা থাকবে। তবে আশা করছি গত বছরের চেয়ে এবছর আমের বাম্পার ফলন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad