মহিমাগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে উপজেলার মহিমাগঞ্জের পল্লীতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, প্রতারক ও চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত এক প্রতারকের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই গ্রামের কয়েকশ মানুষ। মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে ভুক্তভোগীরা নইমুদ্দিন মন্ডলের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা নাজিম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন, গাইবান্ধার জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাধীন জিরাই গ্রামের এনতাজ আলীর ছেলে রেজাউল করিম একজন সন্ত্রাসী, প্রতারক, চাঁদাবাজ ও পরসম্পদলোভী ব্যক্তি। ইতোমধ্যেই সে গ্রামের বহু মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কারণে ধার-দেনার মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করে তা কোন দিন পরিশোধ করেনা।
বরং টাকা চাইতে গেলে তাদের নানাভাবে হয়রানী ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। গত ২০১৭ সালে একই গ্রামের রাহেনুল হকের ছেলে হেলাল উদ্দিন মন্ডল রিতুর কাছ থেকে একই কায়দায় ব্যবসার জন্য দুই লক্ষ টাকা ধার গ্রহণ করে। কিন্তু দীর্ঘ ৬ বছরেও সে টাকা পরিশোধ করেনি। টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময়ে নানা অযুহাতে কালক্ষেপন করতে থাকে।
এরই এক পর্যায়ে সে টাকা পরিশোধ না করে পাওনাদার হেলাল উদ্দিন মন্ডল রিতুর নামে ফেসবুকে নানা মিথ্যা ও মানহানীকর তথ্য প্রচার করতে থাকে। গত কয়েকদিন আগে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সে হেলাল উদ্দিন মন্ডল রিতুর নামে নানা মিথ্যা ও বানোয়াট কিছু তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন গ্রামবাসীদের মাঝে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে।
তিনি আরও বলেন, জিরাই গ্রামের সচেতন মানুষ হিসেবে আমরা এই কুখ্যাত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, প্রতারক রেজাউল করিমের এহেন কর্মকান্ড থেকে বাঁচতে তাকে আইনের আওতায় এনে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি প্রকৃত গণমাধ্যমের সাংবাদিক হিসেবে আপনাদের ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য তুলে ধরে প্রতারণার মাধ্যমে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী প্রতারক রেজাউলের গ্রেফতার ও বিচারের পথ সুগম করে আমাদের রক্ষা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, শুধু সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজিই নয়, বিভিন্ন সময়ে সে আমার এবং গ্রামের শতাধিক মানুষের কাছে বীমা পলিসি করার কথা বলে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সে টাকা তুলেছে এবং অফিসে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে। এখন প্রতারণার শিকার ওই বীমা গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা তুলতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মো. চাঁন মিয়া, রায়হানুল হক, নাছির উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, মানজারুল ইসলাম সুমন, হেলাল উদ্দিন, দুলাল মিয়াসহ গ্রামবাসীরা।