• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৫-৪-২০২৪, সময়ঃ রাত ০৮:৫৯
  • ৩৯ বার দেখা হয়েছে

বৃষ্টির জন্য গাইবান্ধায় তীব্র রোদে বিশেষ নামাজ আদায়

বৃষ্টির জন্য গাইবান্ধায় তীব্র রোদে বিশেষ নামাজ আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক►

মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে গাইবান্ধাসহ সারা দেশ। সকাল থেকেই ঠা ঠা রোদে তেতে ওঠে পথঘাট। টানা তাপপ্রবাহের কারণে ভুট্টা, পাটসহ নানা ধরনের ফসল ঝলসে গেছে। সেচ সংকটে পড়েছে বোরো আবাদ। ঝরে পড়ছে গাছের আম। ছোট অবস্থাতেই ফেটে যাচ্ছে লিচু। 

এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষায় ও বৃষ্টির ফরিয়াদ জানিয়ে গাইবান্ধায় বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে শহরের ইসলামিয়া হাইস্কুল মাঠে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। গাইবান্ধার সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের এ আয়োজনে শহরের বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। 

নামাজে ইমামতি করেন গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। সেখানে দুই রাকাত নামাজ শেষে গাইবান্ধাসহ সারা দেশে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। 

মোনাজাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। দাবদাহে অতিষ্ঠ মানুষ সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের জন্য এ সময় দুহাত তুলে কান্নাকাটিও করেন।

নামাজে অংশ নেয়া স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখিসহ সবাই খুব কষ্টে আছে। এজন্য তারা বৃষ্টির আশায় নামাজ পড়েছেন।

উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় সপ্তাহ জুড়ে তাপমাত্রার পারদ ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। কিন্তু সেই তাপমাত্রার সবচেয়ে অস্বস্তিকর বিষয় ছিল গরম হাওয়া। ফলে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তীব্র তাপপ্রবাহের গরম অনুভূত হওয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) গরমের প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে বাঁচতে ও বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইস্তিসকা’ আদায় করতে বলেছেন। ‘ইস্তিসকা’ অর্থ পানির জন্য প্রার্থনা। অনাবৃষ্টিতে কষ্ট হলে খোলা মাঠে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়। দুই রাকাতের এ নামাজের জন্য আযান বা ইকামাহ হয় না।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়