• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৮-৫-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:৪৫
  • ৪২ বার দেখা হয়েছে

বীরগঞ্জের মাঠ জুড়ে মাঁচায় মাঁচায় দুলছে চাল কুমড়া

বীরগঞ্জের মাঠ জুড়ে মাঁচায় মাঁচায় দুলছে চাল কুমড়া

সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর ►

দিনাজপুর  বীরগঞ্জে বানিজ্যিক ভাবে মাঠে মাঠে দিন দিন বাড়ছে চাল কুমড়ার সবজির চাষ। স্বল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল চাল কুমড়ার চাষ এখন ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতি সপ্তাহে এই চাল কুমড়া বিক্রি করতে পেরে চাষীরা অনেকটাই স্বাবলম্ভি হয়েছেন। 

কীটনাশক মুক্ত এই নিরাপদ সবজি চাষে সফলতার পর এবার বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে চাল কুমড়াসহ অন্যান্য সবজীর চাষ। উপজেলার বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে মাঁচায় মাঁচায় দুলছে চাল কুমড়া। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৩২ হাজার ৮ শত ৯৬ হেক্টর। এর মধ্যে চাল কুমড়াসহ সবজি চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭শত ৫০হেক্টর জমিতে। এবারে সবজি চাষের মোট ল্য মাত্রা ছিল ১ হাজার ৮শত হেক্টর জমি। মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে সবজির  চাহিদা থাকায় স্থানীয় চাহিদা পুরন করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে বীরগঞ্জে উৎপাদিত চাল কুমড়া। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছে চাল কুমড়া চাষীরা।

উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দণি পলাশবাড়ী গ্রামের চাল কুমড়া চাষী তোফাজ উদ্দিন জানান, এ মৌসুমে  ২০ শতক জমিতে চাল কুমড়ার আবাদ করেছি। চাষ, সার, ওষুধ সহ আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১৯-২০ হাজার টাকা। প্রতি সপ্তাহে ৪৫০-৫০০ পিচ কুমড়া পাই। পাইকারি দরে প্রতি পিচ চাল কুমড়া ১৮-২২ টাকায় তে হতে পাইকারী ব্যবসায়ীর কাছে নগদ টাকায় বিক্রি করেছি। এতে কোন ঝামেলা নেই, লাভ ভালো হয়েছে। এর মধ্যে চাল কুমড়া চাষের প্রায় সব খরচের টাকাও উঠেছে।

মরিচা ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জ গ্রামের চাল কুমড়া চাষী ময়নুল ইসলাম  বলেন, গত বছর যে জমিতে ধান রোপন করেছিলাম এবার সেই জমিতে চাল কুমড়া আবাদ করেছি। ধানের চেয়ে চাল কুমড়ায় চাষে বেশি লাভ পেয়েছি। এখনও মাসব্যাপী ফল বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। অন্য ফসলের চেয়ে লাভের পরিমান বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে চাল কুমড়া চাষের পরিমান বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

এ ব্যাপারে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সঞ্জিত কুমার পাল বলেন, কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলায় সবজি চাষের ক্ষেত্রে আমাদের কৃষকদের অবদান বেশি। বিশেষ করে উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় নিরাপদ সবজি চাষে তারা ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। ভালো বীজ নির্বাচন এবং সঠিক পরিচর্যার বিষয়ে পরামর্শসহ সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানে কৃষি অফিস সার্বণিক কৃষকদের পাশে রয়েছ। উপজেলায় কৃষিতে সফলতা সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়