• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৮-৬-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:২৬
  • ৮৭ বার দেখা হয়েছে

বিরামপুরে ভাতিজার লাঠির আঘাতে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা চাচা ও চাচাত ভাই নিজ বাড়ীতেও ফিরতে পারছেনা 

বিরামপুরে ভাতিজার লাঠির আঘাতে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা চাচা ও চাচাত ভাই নিজ বাড়ীতেও ফিরতে পারছেনা 

দিনাজপুর প্রতিনিধি ►

দিনাজপুর বিরামপুরে বসত পার্শ্ববর্তী জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আপন ভাতিজা দের লাঠির আঘাতে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে যাওয়ার চাচা ও চাচাতো ভাই মামলা করলেও নিজ বাড়ীতে ফিরে যেতে পারছে না আহত চাচা ও চাচাত ভাই।

আজ বৃহস্পতিবার  সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে আহত চাচা আলাউদ্দিন (৬৪) ও তার একমাত্র ছেলে সবুজ হোসেন ( ৩৮)  প্রায় এক মাস দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিতসা শেষে নিজ বাড়ীতে ফিরতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলাউদ্দিন বাদি হয়ে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল  ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন । 
মামলার এজাহার সূত্রে জানা, গত ৮ মে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার চতুরপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের তিন ছেলে গোলাম রব্বানী (৩৫) সাইদুর রহমান (২৮) আবুল কাশেম (৫০)  ও একই গ্রামের রশিদুলের ছেলে দইমুর রহমান।  গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে  আপন চাচা আলাউদ্দিন (৬৪) ও চাচাতো ভাই সবুজ হোসেন ( ৩৫)  নিজ বসতবাড়ীর পাশেই জমিজমা ও পারিবারিক  পূর্ব শত্রুতার জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই সবুজ হোসেন বাশেঁর লাঠি দ্বারা এলোপাথাড়ী পিটিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখম করে । সবুজ হোসেনের মাথায় আঘাতের পরিমান এতোটাই যখম হয়েছে যে  ৩২ টি সেলাই।  চাচা আলাউদ্দিন মাথার উপর আঘাত পরিমান গুরুতর যখম যে ১৫টি সেলাই করতে হয়েছে ।  বাবা আলাউদ্দিন ও ছেলে সবুজ হোসেন এতোটাই হয়েছিল যে মৃত্যুও দুয়ার থেকে ফিওে এসেছে বলেও চিকিতসকেরা জানিয়েছেন । তবে এখনই তারা আশংখা মুক্ত নয় । 

ঘটনার সাথে সাথেই গুরুতর বাবা আলাউদ্দিন ও ছেলে সবুজ হোসেনকে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে।  তাদের অবস্থা এতটাই গুরুত্ব যে উপজেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করেই দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহত সবুজের অবস্থা এতটাই আশঙ্কজনক হয়ে যায় যে  তাৎক্ষণিকভাবেই তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় ।  প্রায় ৫ দিন অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর কিছুটা চিকিৎসার উন্নত হলেই তাকে আরো উন্নত চিকিৎসা করার জন্যই পরামর্শ প্রদান করেন । উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে  প্রেরন করা হয় । 

অবশেষে একটু সুস্থ হওয়ার পর হামলাকারী চার ব্যক্তির নাম সহ দিনাজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন ।  ভিকটিমদের সচিত্র ছবি দেখার পর  বিচারক তাৎক্ষণিকভাবেই মামলাটি আমলে গ্রহণ করেন । সাথে সাথে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কে এই মামলাটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিণ করার জন্য  নির্দেশ প্রদান করেন ।  মামলার নাম্বার হচ্ছে ১৫১/২৩।

আদালতের মাধ্যমে মামলাটি দায়ের করার পর আসামী পক্ষ আরোও উগ্র হয়ে আহত পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি প্রদান করে আসছে বলেও অভিযোগ করেন ।  আসামিদের  ভয়ে আহত বাবা এবং ছেলে এখনো বাড়ীতে যেতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন।  বর্তমানে তারা তাদের এক নিকট আত্মীয়র বাড়ীতে লুকিয়ে থেকে চিকিৎসা ও মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন । 
 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়