Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৮-২-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:০৬

ফুলছড়ির কাতলামারীতে এক ব্যক্তির অত্যাচারে অতিষ্ঠ ১৩টি পরিবার

ফুলছড়ির কাতলামারীতে এক ব্যক্তির অত্যাচারে অতিষ্ঠ ১৩টি পরিবার

ফুলছড়ি প্রতিনিধি ►

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পড়েছে ওই গ্রামের ১৩টি পরিবার। তিনি মুক্তিযোদ্ধার ক্ষমতার অপব্যবহার করে একের পর এক হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ওই পরিবারগুলোকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করেছে মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী। তার হামলা ও মামলা থেকে রেহাই পেতে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লায়ন মিয়া বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারী আমি স্থানীয় চায়ের দোকানে চা পান করার সময় আনছার আলী ও তার দুই ছেলে জাহিদুল ইসলাম  ও রতন মিয়া সেখানে উপস্থিত হন। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলেন, তোর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে এতো মামলা দিলাম কাজ হয় না। এখন থেকে তোদেরকে হাত-পা ভেঙে পঙ্গু করা ছাড়া উপায় নাই। এধরণের কথার প্রতিবাদ করলে তার ছেলে কারারক্ষী জাহিদুল ইসলাম ও রতন মিয়া আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আশেপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে।

পরবর্তীতে আনছার আলী থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে উল্টো আমাকেই মসজিদ থেকে আটক করান। আমাকে আটক করার পর গত ৩ ফেব্রুয়ারী মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী জাতীয় জরুরী কলসেবা ৯৯৯ কল দিয়ে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে তার বাড়িতে হামলার মিথ্যা অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিক গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় মেম্বার ও থানা পুলিশ আনছার আলীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ঘটনার কোন আলমতেই পায়নি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানির জন্য পুলিশ তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে চলে যান।

তিনি বলেন, আনছার আলী মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে কাতলামারী গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবারের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ও ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছে। আদালতে আনছার আলীর সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত বাটোয়ারা মামলা চলমান থাকলেও সেখানে তিনি হাজিরা দেন না। তার তিন ছেলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে চাকুরী করার কারণে তারা পেশাগত প্রভাব খাটিয়ে আমাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আদালতে মামলাও করেছি।

সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম মধু বলেন, আনছার আলী আমাদের একই বংশের লোক হলেও তিনি আমাদের বিরুদ্ধে ফুলছড়ি থানায় ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের তিনটি সহ চারটি মামলা ও গাইবান্ধা আমলী আদালতে একটি মামলা করেছেন। যার সবগুলোই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা। এসব মিথ্যা মামলার বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশী বৈঠকে বসলেও আনছার আলী সালিশ মানেননি। উল্টো তারাই আমাদেরকে হত্যা সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেন। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উজ্জল বেপারী, মোন্নাফ মিয়া, মাসুদুর রহমান টিপু, ওয়াদুদ মিয়া, আব্দুল ওয়াহেদ, রমজান আলী, লিটন বেপারী, রফিক মিয়া, বাবলু বেপারী সহ অনেকে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো প্রশাসনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad