আমিনুল হক, ফুলছড়ি ►
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে কোরবানির পশুর চামড়ার অপচয় রোধকল্পে ও যথাযথভাবে চামড়া সংরক্ষণের জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেতাদের মাঝে লবণ বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুন) ফুলছড়ি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধানে কালিরবাজার গরুর হাটে কোরবানির পশু ক্রেতাদের মাঝে এ লবণ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদ-উল আযহায় কুরবানিকৃত পশুর চামড়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার পশুর চামড়া ঢাকার ট্যানারি কারখানাগুলোতে পৌঁছতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যায়। অনেক সময় সঠিকভাবে সংরক্ষণ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার কারণে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে যায়।
এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয়। "পশুর চামড়া" যথাযথভাবে সংরক্ষন করবেন। কেনো না চামড়া সংরক্ষণ না করলে ক্রেতারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এর যথাযথ মূল্য থেকে আপনাদের ঠকানো ছাড়াও চামড়া শিল্পের ধ্বংশ বয়ে আনতে পারেন। আর চামড়া শিল্পের ধ্বংশ মানে বাংলাদেশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষে অন্তরায় হতে পারে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই কর্মসূচি সফল করতে চামড়া ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, বাজারের ইজারাদার ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা করা হয়েছে। গরুর হাটের পাশাপাশি লবণ বিক্রয়ের জন্য পয়েন্ট করা হয়েছে। হাটের মাইকে যারা চামড়া সংরক্ষণ করবেন তাদের গরু ক্রয়ের সাথে লবণ ক্রয়ের জন্য উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে।
কালিরবাজার হাটের ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনেক সময় লবণ সংকটে কোরবানির পশুর চামড়া নষ্ট হয়। প্রশাসনের এই উদ্যোগের ফলে চামড়ার মতো মূল্যবান সম্পদের অপচয় কমবে।