নিজস্ব প্রতিবেদক►
কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (CREA) প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস- ২০২৩ পালিত হয়েছে। আজ রবিবার (১৫অক্টোবর) সকালে ফুলছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে রচনা প্রতিযোগীতা, বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস -২০২৩ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় গ্রামীণ নারী’। অনুষ্ঠানে চর এলাকায় কিশোর-কিশোরী, নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা সম্বলিত প্লে-কার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার হাতে র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। র্যালি শেষে ফুলছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্রিয়া প্রকল্প সমন্বয়কারী লাভলী খাতুন এর পরিচালনায় এবং ফুলছড়ি ইউনিয়ন ক্লাইমেট একশন গ্রুপের সদস্য নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফুলছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, ফুলছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল বারেক, সহকারী শিক্ষক রওশন আলী, ক্লাইমেট একশন গ্রুপের সদস্য আমিতন বেগম, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গনমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটিতে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন গ্রামীণ নারী প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘন্টা পারিবারিক ও কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকলেও তাদের কাজের কোন মূল্যায়ন করা হয় না। পরিবার, সমাজ এবং সকলের জন্য বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারীরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, সেগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেয়া দরকার। আরও বলেন, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তায় গ্রামীণ নারীর ভুমিকা ও কৃষি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে তাদের অনস্বীকার্য ভুমিকা থাকলেও নারীর এই মূল্যহীন ও অবমূল্যায়িত কাজ বা শ্রম ছাড়া কৃষির উৎপাদন অসম্ভব। তারা গ্রামীণ নারীদের এসকল কাজের গুরুত্ব উপলব্ধি ও স্বীকৃতির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের পথ সুগম করার আহবান জানান। একইভাবে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত হয়।
ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি►
কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (CREA) প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস- ২০২৪ পালিত হয়।
আজ (বুধবার, ১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ ঘটিকায় ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদে কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘গ্রামীণ নারীর মর্যাদাপূর্ণ জীবন গড়ি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করি’। অনুষ্ঠানে চর এলাকায় নারীগণ কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভা শেষে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক বার্তা সম্বলিত প্লে-কার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার হাতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
ক্রিয়া প্রকল্পের সমন্বয়কারী লাভলী খাতুন এর পরিচালনায় এবং ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী মন্ডল’র সভাপতিত্বে ও ক্রিয়া প্রজেক্ট অফিসার সুলতানা বাহার’র সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এসকেএস ফাউন্ডেশনের জেন্ডার চাইন্ড প্রটেকশন এন্ড সেফগার্ডিং’র সমন্বয়কারী উম্মে কুলছুম ইলা, জয়ীতা জয়ী বিথী বেগম, ক্লাইমেট একশন গ্রুপের সদস্য মোসুমী আক্তার সহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটিতে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
উক্ত অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট একশন গ্রুপের সদস্য মোসুমী আক্তার দাবিগুলো তুলে ধরেন, জাতীয় কৃষি অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীর অবদান ও ভূমিকার যথাযথ মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় প্রয়োজন সর্বস্তরে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, নারীর গৃহস্থালী কাজের স্বীকৃতি চাই, নারীকে কৃষক হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে, করুণা নয়, সম্মান চাই, সম্পত্তিতে সমবণ্ঠন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, চরের জমিতে নারীর মালিকানা দিতে হবে, কৃষি ভর্তুকিতে নারী কৃষককের নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ করতে হবে, সকল বাঁধা দূর করে, নারী উন্নয়নে প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা।
বক্তারা বলেন, একজন গ্রামীণ নারী প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘন্টা পারিবারিক ও কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকলেও তাদের কাজের কোন মূল্যায়ন করা হয় না। পরিবার, সমাজ এবং সকলের জন্য বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারীরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, সেগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেয়া দরকার। আরও বলেন, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তায় গ্রামীণ নারীর ভুমিকা ও কৃষি সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য কাজে তাদের ভূমিকা থাকলেও নারীর এই মূল্যহীন ও অবমূল্যায়িত কাজ বা শ্রম ছাড়া কৃষির উৎপাদন অসম্ভব। তারা গ্রামীণ নারীদের এসকল কাজের গুরুত্ব উপলব্ধি ও স্বীকৃতির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের পথ সুগম করার আহবান জানান।