নিজস্ব প্রতিবেদক ►
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নিভৃত পল্লীতে সবজির ক্ষেত দেখতে যায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরী। এসময় মুন্না শেখ (২০) নামের এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মুন্নাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার (৬ মে) সকালে র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।গ্রেফতারকৃত মুন্না শেখ সাদুল্লাপুর উপজেলার ছোট দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল বাকী শেখের ছেলে।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ৭ জুলাই বিকেলে প্রতিবন্ধী ভিকটিম সবজী ক্ষেত দেখার জন্য আসামি মুন্না শেখের বসতবাড়ি সংলগ্ন জমিতে যায়। এসময় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে একা পেয়ে বিভিন্ন প্রকার ভুল বুঝিয়ে আসামির বাড়িতে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের চলাফেরা এবং শারিরীক গঠনে অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হলে ভিকটিমকে তার স্বজনের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এমতাবস্তায় ১৫ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের দাদা সাদুল্লাপুর থানায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন একটি মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৫ মে) র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্প ও র্যাব-৪, সিপিএসসি এর আভিযানিক দলের যৌথ নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বর্ণিত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি মুন্না শেখকে, ঢাকার সাভার থানাধীন ফুলবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে আত্নগোপন করে তার অবস্থান পরিবর্তন করতেন। প্রাাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি বলে স্বীকার করেছে। ধৃত আসামিকে সাদুল্লাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।