• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৬-৬-২০২৩, সময়ঃ সকাল ১০:৪৮
  • ৫৩ বার দেখা হয়েছে

প্রচণ্ড তাপদাহে নাজেহাল মানুষ

প্রচণ্ড তাপদাহে নাজেহাল মানুষ

নীলফামারী সংবাদদাতা ►

সারাদেশের মতো নীলফামারী জেলায়ও প্রচণ্ড তাবদাহের কারণে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। অনেকেই গরমের কারণে গাছের শীতল ছায়ায় বসে সময় কাটাচ্ছেন।

ঘরের বাইরে যেন বয়ে যাচ্ছে আগুনের ফুলকি। এতে েেতর ফসল পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় ঘন ঘন লোডশেডিং মানুষকে ফেলেছে চরম বেকায়দায়। একটুখানি ছায়ার জন্য লোকজন ছুটছেন গাছতলায়, বটবৃ ছায়ার তলে। নীলফামারী জেলা প্রশাসন তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোক এড়াতে সতর্ক বাণী প্রচার করেছে।

জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুর উপজেলায় গরমের কারণে বেশিরভাগ দিনমজুর ও শ্রমিক কাজে বের হতে পারছেন না। বের হলেও ১০-১৫ মিনিট বাইরে থাকতেই তারা হাঁপিয়ে উঠছেন। বয়োবৃদ্ধরা জানান, জীবনে এরকম গরম তারা আর দেখেননি। বাইরে বের হলেই শরীরে র‌্যাশ/ফোঁসকা পড়ে যাচ্ছে।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গত কয়েকদিন ধরে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আকাশে মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে না। আগামী ৯ জুনের আগে আবহাওয়ার কোনো ভালো খবর নেই। তবে এই জনপদের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টিপাত হলেও হতে পারে।

তীব্র এ তাপদাহের মধ্যে শহর ও গ্রামে সমানতালে চলছে লোডশেডিং। মধ্যরাতেও দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হওয়ায় মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে। অনেক জায়গায় দিন-রাত মিলে ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টাই লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে ইজিবাইক ও রিকশা ভ্যানের ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে না। এতে করে সেসবের চলাচল অনেক কমে গেছে।

প্রচ- গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছুটছেন হাসপাতালে। প্রচ- রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস শুরু হয়েছে জনজীবন। জেলার কোনো কোনো স্থানে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে খাল-বিলসহ মাটি।

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার জানান, প্রচ- গরমে মানুষ অনেক ঘামে। এতে শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। তাই বেশি করে পানি পান করা উচিত। রোদ থেকে নিজেকে রা করে চলতে হবে। বিশেষ করে হিটস্ট্রোক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়