পীরগঞ্জ প্রতিনিধি ►
ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক। ঈদে রোজগার ভালো হবে ভেবে আগেই বেড়াতে গিয়েছিলেন গ্রামের বাড়ি। সেখান থেকে যান রংপুরের পীরগঞ্জে তাদের নানা বাড়ি। অবসর কাটাতে মামাতো ভাই, ভগ্নিপতি, বন্ধুসহ পাঁচজন ঘুরতে যান উপজেলা সদরের বড় বিলা স্লুইসগেট এলাকায়। দর্শনীয় এ স্থানে সে সময় বান্ধবীসহ আড্ডা দিচ্ছিলেন মতাসীন দলের এক নেতার ছেলে মনিরুজ্জামান নীরব ও তাঁর দুই বন্ধু।
তাঁদের অতিক্রম করার সময় শিস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে শরিফুলদের শায়েস্তা করার ফন্দি আঁটেন নীরব। ফোন করে আরও কয়েকজনকে ডেকে আনেন তিনি। কাঙ্তি ব্যক্তিরা আসার পর হামলে পড়েন ওই দর্শনার্থীদের ওপর। এতে অন্যরা পালিয়ে যেতে সম হলেও গুরুতর আহত হন শরিফুল। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনায় মামলা করেছেন নিহতের মা আরেফা বেগম।
জানা গেছে, শরিফুল গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ফরিদপুর নাকরি গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার সময় ঢাকার বন্ধু হাসিবকেও নেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্লুইসগেট এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার সময় তাঁদের সঙ্গে আরও ছিলেন নিহতের মামাতো ভাই ও রংপুরের পীরগঞ্জের রওশনপুর গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে নুরুন্নবী, আরেক মামাতো ভাই ও ঝড়ু মিয়ার ছেলে এমরান এবং ভগ্নিপতি ইউসুফ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, শরিফুল খুনের মামলার আসামিরা সবাই বখাটে, নেশাখোর এবং ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। এ প্রসঙ্গে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ প্রধান বলেন, নীরব জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতি করে। সম্প্রতি জেলা ছাত্রলীগে পদ পেতে পরীায় অংশ নিয়েছে সে। মিছিল-মিটিংয়ে নিয়মিত থাকলেও তার সঙ্গে পৌর ও উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পর্ক নেই। অপরাপর অপরাধীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পর্ক নেই।
নিহতের মা আরেফা বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ঢাকায় চলে যাই। সবাইকে নিয়ে ঢাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। পীরগঞ্জের রওশনপুর গ্রামে আমার বাবার বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ফেরার কথা ছিল আমাদের।