• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৬-৩-২০২৪, সময়ঃ সকাল ০৯:৪৩
  • ৫৪ বার দেখা হয়েছে

পঁচিশে মার্চ কালরাত্রি স্মরণে গাইবান্ধায় আলোর মিছিল

পঁচিশে মার্চ কালরাত্রি স্মরণে গাইবান্ধায় আলোর মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক►

১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ কালোরাত্রিতে গণহত্যার শহীদদের স্মরণে গাইবান্ধায় আলোর মিছিল ও প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিশিষ্ট  শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাজহারউল মান্নান আলোর মিছিলের উদ্বোধন ঘোষনা করেন। 

জাতীয় গণহত্যা দিবস ও একত্তরের পঁচিশে মার্চ ভয়াল কালরাত্রি স্মরণে এ আলোর মিছিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতাকর্মী, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও শহিদ পরিবারের সন্তানরা অংশ নেয়। 

বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটি গাইবান্ধার আয়োজনে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় পৌরপার্কের শহীদ মিনার চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহ্ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম সংলগ্ন বধ্যভূমিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একাত্তরে গণহত্যার শিকার শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিরবতা পালন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রজ্জলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে মিছিলকারিরা একাত্তরে পাকিস্তানী বাহিনীর কুখ্যাত টর্চারসেল ও বধ্যভূমি বলে পরিচিত গাইবান্ধা শাহ্ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম সংলগ্ন পরিত্যক্ত গোডাউনে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি রেখে শহিদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাজহারউল মান্নান, বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক জিএম চৌধুরী মিঠু। 

এসময় একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদা, সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন সুজা, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সভাপতি একেএম রেজাউল হক, সহসভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন, উদীচী জেলা সভাপতি জহুরুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ জেলা সভাপতি দেবাশীষ দাশ দেবু, সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি বর্মন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) জেলা সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী, গাইবান্ধা থিয়েটার সভাপতি আলমগীর কবীর বাদল, নাট্যকর্মী মানিক বাহার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রউফ মিয়া, শহিদ পরিবারের সন্তান প্রবীর চক্রবর্তী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক রিকতু প্রসাদ, নারীনেত্রী অধ্যাপক রোকেয়া খাতুন, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, শামীম আরা মিনা, ইসরাত জাহান লিপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কোনো অন্ধকার পরাশক্তির কাছে কখনো মাথা নত করবে না, স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দিতে হবে। সব অশুভশক্তিকে পরাজিত করে আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলে আলোকিত সমাজ গঠনের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রকে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। 

তারা গাইবান্ধাসহ দেশের সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণ করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানান।

অন্যদিকে, বধ্যভূমি সংরক্ষণ করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে কামারজানী বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটি ও সারথী থিয়েটার যৌথ উদ্যোগে একটি শোক পদযাত্রা বের করে। সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দারিয়াপুর থেকে কামারজানী বন্দর পর্যন্ত এ শোক পদযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধা স্টেডিয়াম সংলগ্ন ওই টর্চার সেলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আলসামস্ সদস্যরা ৭১’র ৯ মাস অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়