লালমনিরহাট সংবাদদাতা ►
পানির অভাবে প্রমত্তা তিস্তা প্রায় পাঁচ মাস ধু-ধু বালুচর ছিল। সম্প্রতি উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সেই তিস্তায় পানি আসতে শুরু করেছে। শুকিয়ে যাওয়া তিস্তায় এখন বাড়ছে পানি। ফলে স্বস্তি ফিরেছে তিস্তা পাড়ের মানুষের মনে।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি ক্রমেই বাড়ছে। পানি বৃদ্ধিতে তিস্তাপাড়ের জেলেরাও খুশি। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম বলেন, উজানের ভারী বৃষ্টির কারণে গত বুধবার দিবাগত রাত থেকে তিস্তায় পানি বাড়ছে। পানি এখন থেকে আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, উজনে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গত দুইদিন থেকে তিস্তার পানি কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে তিস্তার পানি ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৯.৭০ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা ব্যারাজের চারটি জলকপাট প্রায় ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি ওপরে ওঠানো হয়েছে।
তিস্তা ব্যারাজ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত দুইদিন ধরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কিছু জেলে নদীতে নেমে জাল দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। মিলছে ছোট-বড় কিছু বৈরালি মাছ। যা তিস্তা পাড়ে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। জেলেরা বলছেন, তিস্তা নদীতে ভরপুর পানি থাকলে প্রচুর পরিমাণে বৈরালি মাছ পাওয়া যাবে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আইনুল মেম্বার বলেন, গত দুইদিন থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধিতে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। তিস্তা পাড়ের জেলে কদম আলী বলেন, গত দুইদিন থেকে তিস্তার পানি বেড়েছে। এর আগে গত পাঁচ মাস ধরে তিস্তায় পানি না থাকায় জেলেদের খুবই কষ্টে দিন কেটেছে। এখন উজান থেকে পানি আসা শুরু করায় আমরা আনন্দিত। পানি বৃদ্ধি পেলে মাছ পাওয়া যাবে। সীমান্ত বাজারের জেলে এমদাদ হোসেন বলেন, নদীর পানি বেড়েছে তাই জাল নিয়ে এসেছি তিস্তার পাড়ে। নদীতে বারবার ঝাঁকি জাল ফেলেও মাছ কম উঠছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।