সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি►
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য তিনজন প্রার্থীর কাছে ১২ লাখ টাকাকরে ৩৬ লাখ টাকানেয়া হয়েছে। তাঁদেরকে নিয়োগ দেয়ার জন্য লোক দেখানো পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
এমন অভিযোগ এনে এলাকাবাসীরা সমবেত হয়ে প্রতিরোধ করেছেন পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম। বিক্ষুব্ধ লোকজন আটকে রাখেন ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনাপর্ষদের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপ-পরিচালকের প্রতিনিধিএবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের ছমির উদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ৩টি শুন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয়রা জানতে পারেন যে পদগুলোতে নিয়োগদেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে সেগুলোতে আগেই পছন্দের প্রার্থী ঠিক করা হয়ে গেছে।
এমন খবরে শত শত গ্রামবাসীওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জড়ো হন। তাঁরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের একটি রুমে আটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যান আটককৃতরা।
প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও প্রধান শিক্ষকপুলিন চন্দ্র রায় উৎকোচের বিনিময়ে নিয়োগ দেবেন এটা হতে দেয়া হবে না।
প্রতিষ্ঠানটির জমিদাতা ইব্রাহিম সরকারের ছেলে মুকুল সরকার বলেন, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকযোগসাজস করে তিন প্রার্থীর কাছে ১২ লাখ টাকাকরে মোট ৩৬ লাখ টাকানিয়েছেন। তাদের কে নিয়োগ দেয়ারজন্য এই লোক দেখানোপরীক্ষা।
গ্রামবাসী আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আমাদের এলাকার। এখানে কোনক্রমে নিয়োগ বাণিজ্য করতে দেওয়া হবে না। আমরা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকেরঅপসারণ চাই।
এ নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলামাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহায়ক, আয়া ও নৈশ প্রহরী৩টি পদে মোট ১৩ জন পরীক্ষার্থীছিলেন। সেখানে অনুকুল পরিবেশ ছিলো না তাই নিয়োগপরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও প্রধান শিক্ষকপুলিন চন্দ্র রায়ের সাথে বার বার যোগাযোগ করলেও মুঠোফোনে কল কেটে দেয়ায়মন্তব্য পাওয়া যায়নি।