Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৬-৬-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:৩৬

ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলে জোবেদার ঘরবাড়ি

ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলে জোবেদার ঘরবাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধা ডেভিড কোম্পানি পাড়ার আগের বাড়ি এলাকার বাসিন্দা জোবেদা খাতুন।  বয়স ৬০ বছর। থাকেন মানুষের জায়গায়। মানুষের বাসায় কাজ করে  সংসার চলে তার। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন- বৃহস্পতিবার বিকেলে হটাৎ করি ঝড় আসলো। প্রথমে ভেবেছিনুম বৃষ্টি হবো। এর মধ্যে জোরে বাতাস এসে ঘড়ের চাল, টিভি, ফ্রিজ, সব লণ্ডভণ্ড করে গেছে। চুরমার হয়ে গেছে কাচের সব জিনিসপত্র। খুব কষ্ট করে এসব করেছিলুম। থাকার মত কোনো জায়গা নাই। রাত্রে এখানে জীবন যাপন করেছম। সারারাত ঘুমাম নি। হাতে পয়সাকড়ি কিছুই নাই। আমার ছেলে নাই করমো আলা মানুষ নাই। খুব অসহায়।  আমি এ জন্য পৌর মেয়র ও জেলা প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।

"শাহানা বেগম৷ বয়স আনুমানিক ৫০ হবে। মানুষের বাসায় কাজ করেন।  তিনি বলেন- গতকাল হটাৎ করি ঝড় বাতাস আসিয়া বাড়িঘর ভাঙ্গিচুরি দিয়া গেল। হামার সামর্থ্য নাই এসব ঠিক করার। পৌর মেয়র সকালে এসে দেখে গেছে। কিন্তু কিছু করেনাই ও আশ্বাসও দেয়নি। আমরা গরিব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। পৌর মেয়র কিছু সাহায্য না করলে হামার ঠিক করার তৌফিক নাই। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবাগুলো এমনটা জানান।

শুধু তাই নয়- গাইবান্ধা শহর, সদর উপজেলার কামারজানি, তুলশীঘাট, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মাঠবাজার, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর সহ গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া  বৃষ্টি ও ঝড়ে টিন উড়ে যাওয়ায় ও গাছপালা, বিদ্যুৎ এর পোল পড়ে যাওয়ায় আর্থিক, শারীরিক ও মানুষিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মানুষজন। বিশেষ করে দিন এনে দিন খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে জেলা বাসী। এলাকাভিত্তিক ৯ থেকে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকে শহর ও জেলাবাসী।

অন্যদিকে- ঝড়ে আগেরবাড়ি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোজ নিয়ে কিছু আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছেন গাইবান্ধা পৌরসভার সাবেক মেয়র এ্যাড: শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন। এছাড়াও গাইবান্ধা বর্তমান পৌর মেয়র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad