Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৪-৩-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০২:৫২

গোবিন্দগঞ্জে চাষ হচ্ছে বিটোল পোকা 

গোবিন্দগঞ্জে চাষ হচ্ছে বিটোল পোকা 

গোপাল মোহন্ত,  গোবিন্দগঞ্জ  ►

পোল্ট্রি শিল্পে অধিক প্রোটিন সরবরাহ করতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে  শুরু হয়েছে বিটোল পোকার চাষ। আস্থা পোট্রি খামারে সল্প পরিসরে এই পোকার চাষ শুরু করে ইতিমধ্যে লাভবান হয়েছেন খামার কর্তৃপক্ষ। বিটোল পোকা উড়তে পারেনা এবং দুর্গন্ধ ছড়ায় না তাই খুব সহজে অল্প জায়গায় যেকোন স্থানে এর চাষ করা সম্ভব।  অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ এই পোকার লার্ভা খাদ্যের সাথে মুরগিকে খাওয়ালে খাদ্য সাশ্রয় হবে ও ব্যয় কমবে। সেই সাখে খুব দ্রুত মুরগী, মাছ সহ পোল্ট্রি শিল্পের অন্যান প্রাণী ওজন বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভ’মিকা রাখবে।

পোকা উৎপাদনকারী  গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার এলাকার  পেকস চক্ষু হাসপাসাল  এলাকার পোল্ট্রি খামারী সোহেল নাওরোজ তার আস্থা এগ্রো ফার্মে উন্নত জাতের দেশী-বিদেশী মুরগি পালন করে আসছেন। তার খামারে টার্কি, তিথির ও কাদাকনাথের মত মুরগি রয়েছে। এসব মুরগির পাশাপাশি তিনি খামারে বিটোল পোকার চাষ শুরু করেছেন। অধিক প্রটিন সমৃদ্ধ এই পোকার লার্ভা খাদ্যের সাথে মুরগিকে খাইয়ে ভাল ফল পাওয়ায় এবং বেশ বিছু এলাকা থেকে আসা পোল্ট্রি খামারীরা এই পোকা চাষ পদ্ধতি এবং পোল্ট্রি শিল্পে ভাল ফল দেখে তারাও বিটোল পোকা উৎপানে আগ্রহী হয়েছেন।

পোল্ট্রি খামারে কর্মরত শ্রমিক সোবাহান মিয়া বলেন বিটোল পোকা চাষে অনেক সুবিধা রয়েছে। যেসব পাত্রে বিটোল পোকা চাষ করা হয় সে সব পাত্র সব সময় পরিস্কার থাকে এবং দুর্গন্ধমুক্ত থাকায়  বাড়ীর আশে পাশে এই পোকা চাষ করা সম্ভব। এর খাদ্য হিসেবে ভ’ট্টার গুড়া খাওয়ানো যায় ৫হাজার পোকার জন্য ২/৩ কেজি ভ’ট্টা এক সপ্তাহের বেশী চলে। বলতে গেলে এই পোকা বাধা কপি, ফুলকপি,কুচি কুচি করে কেটে, এবং ভ’ট্টা, গমের গুড়া খেতে দেয়া হয়। 

আস্থা এগ্রো ফার্ম পোল্ট্রি খামারের পরিচালক সোহেল নাওরোজ বলেন প্রায় ১ বছর যাবত বিটোল পোকা চাষ করছেন তিনি। উড়তে পারেনা এবং দুর্গন্ধ না থাকায় সহজে অল্প জায়গায় এর চাষ করা য়ায়। তার দাবি এ পোকাটি অধিক প্রটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এর লার্ভা খাদ্যার সাথে মুরগি বেং মাছকে খাওয়ালে খাদ্য সাশ্রায় হবে এবং মুরগীর ওজন ও উৎপাদন ব্যয় কমবে। মধ্যে তিনি মাছ এবং মুরগীকে খাইয়ে এর ভাল সুফল পেয়েছেন। তিনি জানান, ইউটিউব দেখে তিনি জেনেছেন বিটোল পোকার পাউডার গরু কে খাইয়েও ভাল ফল পাওয়া গেছে। আমাদের দেশে না থাকলেও বাইরের দেশের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে মানুষও এর পাউডার খেয়ে থাকে। তিনি ইতিমধ্যে অন্য খামারীদের মাঝে ১ টাকা ২টাকা পিস পোকা বিক্রি করেছেন তারাও  চাষ শুরু করেছেন। এই পোকা অত্যন্ত লাভজনক প্রতিদিন ২শ থেকে আড়াইশ ডিম পারে।

তবে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা  ডাঃ বেলাল হোসেন বলেন গবেষণাগারে পরীক্ষায় এর গুনাগুন প্রমাণিত হলেই কেবল এটি পোট্রি খামারীদের মাঝে সম্প্রসারণ ঘটানো সম্ভব হবে।তিনি বলেন দেশে অনেকই বিটোল পোকা চাষ করছে এবং পোল্টিকে খাওযাচ্ছেন। তবে এটি একটি অপ্রচলিত খাবার। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় পোল্টি খাদ্য হিসাবে অনুমোদন পেলেই এর সম্প্রসারণ বা খামারিদের এ পোকা চাষে উৎসাহিত করা যাবে। 

চলমান পোল্টি খাদ্যের বাজার উর্দ্ধমুখীর এ সময়ে বিটোল পোকা পোল্টি খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাবে কিনা তা নিশ্চিত করতে সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন এমনই প্রত্যাশা পোল্টি খামারিসহ সকলের।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad