গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি►
গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার পানি কমে বর্তমানে করতোয়া নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘরে বন্যার পানি ঢুকে পরায় নানা ধরণের দুর্ভোগে বানভাসি মানুষ।
কয়েকদিন ধরে গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া পারে গোবিন্দগঞ্জ ফুলহার, গোশাইপুর, বগুলাগাড়ী, চক রহিমাপুর, চাদপুর, বালিয়ামারী, বড় নারায়নপুর, কোমল নারায়নপুর, মথুরাপুর, উত্তর ছয়ঘরিয়া ,পার সুন্দাইল, দেবোত্তর নারায়নপুরসহ ১৫ টি গ্রামের মানুষ। রাস্তা ঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাচলের ক্ষেত্রে কলাগাছের ভেলা ও নৌকায় জরুরী কাজ সম্পাদন করছেন বন্যা কবলিত মানুষ।
এ দিকে গত ৭দিনের বন্যায় উপজেলার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যপক ক্ষতির আশংকা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। অনেক জানান, তাদের ধান, মরিচ, পটল, করলা, কলাগাছ, পেঁপে গাছ, আখ সহ বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। সুর্য্যরে তাপ ও পানি গরম হয়ে এই ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বন্যার পানিতে উপজেলায় নিমজ্জিত ফসল রয়েছে রোপা আমন ১১৬১ হেক্টর, মাস কালাই ২০ হেক্টর, শাকসবজি ৫০ হেক্টর, আদাসহ মসল্লা জাতীয় ফসল ৭ হেক্টর, কলা ১২ হেক্টর এবং মিষ্টি আলুর ভাইন ১ হেক্টর।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, পানি না নামলে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা যাবে না। তবে ক্ষতির পরিমান সহনীয় পর্যায়ে আনতে কৃষকদের নানা ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। যদি দুই একদিনের মধ্যে ফসলের জমি থেকে পানি নেমে যায় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা জিন্দার আলী জানান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাওয়া শুকনা খাবার ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরো ১৮ মেট্রিকটন খাদ্য সামগ্রী চাহিদা দিয়ে জেলা প্রসাশনের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।