Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৯-৫-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:১৮

গোবিন্দগঞ্জে এক সময়ের প্রমত্তা করতোয়া নদী এখন পানি শুন্য॥ দুরাবস্থায় বিপাকে নদী পাড়ের মানুষ।

গোবিন্দগঞ্জে এক সময়ের প্রমত্তা করতোয়া নদী এখন পানি শুন্য॥ দুরাবস্থায় বিপাকে নদী পাড়ের মানুষ।

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া নদী  পানি শুন্য হয়ে পড়ায় হেঁটেই পারাপার হচ্ছেন এলাকবাসী। আবার কোথাও  কোথাও গবাদী পশুর চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদীর  বুক জুড়ে শুধুই বালুচর। প্রমত্তা করতোয়ার এই দুরাপস্থায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক সহ নদীর ওপর নির্ভলশীল মানুষ।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বালুপাড়া দিয়ে করতোয়া নদী  প্রবেশ করে  এই উপজেলায়। এরপর সোজা পূর্ব দিকে চলে গেছে এইনদী। পরে গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে দিয়ে এসময় কাটাখালী ও বাঙ্গালি নাম নিয়ে গোবিন্দগঞ্জের সীমানা অতিক্রম করে।  এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম কালে সৃষ্টি করেছে নানা শহর বন্দর ও গঞ্জ।  এক সময় এই নদীর বুকে ভর করে চলাচল করতো বড় বড় বজারা নৌকা।  কালের আবর্তে সব বন্ধ হয়ে গেছে।

এখন নদীর অস্তিত্ব হুমকীর মুখে। নদীতে পানি না থাকায় দু’পারের মানুষ হেঁটেই চলাচল করছেন। আবার অনেকেই পার হন মোটর সাইকেল  অথবা অন্যকোন যান বাহনে চড়ে। নদীর বুকেই চাষ হচ্ছে ধান সহ নানা ধরণের ফসল। কোথাও কোথাও গরু-ছাগলের গো-চারণ ভ’মিতেও পরিনত হয়েছে।  আগে কাটাবাড়ী, দরবস্ত. সাপমারা রাখাল, হরিরামপুর, তালুককানুপুর  ইউনিয়নের বেশীর ভাগ জমির ফসলে সেচ হিসেবে ব্যবহার হতো এই নদীর পানি। এখন সে অবস্থা কালের আবর্তে আর আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে।

দরবস্ত ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের হযরত আলী বলেন আগে  নদীর পানিতে গোসল করতাম, গরু-বাছুরকে গোসল করাতাম এখন সে অবস্থা শুধুই স্মৃতি। তিনি বলেন নদীতে পলি মাটি জমা পড়ায়  এবং নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায়  ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। যে জন্য শুস্ক মৌসুমে আর পানি পাওয়া যায়না।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পে নদীর নাব্যতা ফেরাতে করতোয়া নদীর পূর্ব পার্শ্বে বাঙ্গালী নদী খনন কাজ শুরু করেছেন। পর্যাক্রমে পশ্চিম এলাকাতেই নদী খনন শুরু হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad