গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে খোলস বদল করে নতন পরিচয়ে আবারো বালু উত্তোলনে ফিরেছে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা। উপজেলর ৭০টি পয়েন্টে দিনরাত সমান তালে চলছে ড্রেজার ও স্যালো মেশিনে বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
স্থানীয়দের অভিযোগ বিকট শব্দের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বালু তোলার যন্ত্র ব্যবহারের কারণে শব্দ দুষণ ও নদী ভাঙনের পাশাপাশি বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের নেই কার্যকারী পদক্ষেপ। এলাকাবাসী এবং স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলা কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ফুলহার থেকে শালমারা ইউনিয়নের মেলানদহ সেতু পর্যন্ত করতোয়া, কাটাখালী ও বাঙালি নদীসহ গুমানীগঞ্জ, নাকাইহাট, শালমারা, হরিরামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নালা, খাল-বিল, আবাদি জমি, বসতবাড়ীর পাশ থেকে অবৈধভাবে পরিবেশ ধ্বংস করে প্রায় ৭০টি পয়েন্ট থেকে বছরের পর বছর বালু তুলে বিক্রি করে আসছে এই এলাকার বালু খেকোরা।
এতে করে করতোয়া, বাঙ্গালী ও কাটাখালীর নদীর প্রায় ১২টি পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন ভাঙন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। এর মধ্যে ফুলহার, সাতানা বালুয়া পলুপাড়া, সাহেবগঞ্জ মেরী, চকরহিমাপুর, চাঁদপুর খলসী, ফতেউল্লাপুর বঘুনাথপুর, ধর্মপুর, ধুনদিয়া, চরবালুয়া, বিশপখইর অন্যতম। এ সব স্থানে নদীভাঙ্গনের কৃষিজমি সবতবাড়ী, গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা ভাঙনের মুখে পড়েছে। আবার কোথাও ভাঙন হমকীতে মুখে রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকাবাসী পক্ষ থেকে কেবল অভিযোগ দিলে মাঝে মধ্যে প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধে হালকা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্ত কার্যকরী কোন ভূমিকা না নেয়ায় বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদজ্জামন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় অপারেশন অব্যহত রয়েছে। গত বুধবার বড়দহ, সমসপাড়া, চক রহিমাপুরসহ ৭/৮ স্থানে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছে। আর যাতে তারা কোন ভাবেই বালু উত্তোলন করতে না পারে সে জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাসেল মিয়া বলেন, বালু উত্তোলনকারী যেই হোক প্রশাসন তা বিবেচনা করছেনা। নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে বালু উত্তোলন করা বন্ধ করা হচ্ছে।