Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৪-১-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:২৯

এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজে পিঠা উৎসব

এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজে পিঠা উৎসব

আবু সায়েম

চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ। মাঠের কোনায় স্টলে স্টলে সারি সারি পিঠাপুলির মনোমুগ্ধকর প্রদর্শন। কেউ বানিয়েছেন পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, তেল ভাজা, রসকদম, পদ্দ পুল, নকশি পিঠা; আবার কেউ তালের পিঠা, চন্দ্রমুখী, মুজির বড়া, মুগপুলি, চিতই, মালপোয়া, বউ পিঠাসহ নানা স্বাদ ও গন্ধের শতাধিক রকমের বিভিন্ন নামের ও রঙের পিঠা। নানা স্বাদের বাহারি রকমের এসব পিঠার স্টলের পাশেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচে-গানে আনন্দে মাতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবাই।

‘হারিয়ে যাই এই শীতে, মজাদার পিঠার স্বাদে’ স্লোগানে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধার এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ পিঠা উৎসব। এতে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা স্টলগুলোতে চুষি পিঠা, কুলি, মম, তালবড়া, পাকন পিঠাসহ নানা ব্যতিক্রমী নামের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে। এসব পসরা সাজানো পিঠা দেখতে ও খেতে ভিড় জমায় পিঠাপ্রেমীরা।

প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমানা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমাদের স্টলে প্রায় ২০ আইটেমের পিঠা রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো আকর্ষণীয় নামের পিঠা আছে। এ পিঠা তৈরিতে আমাদের সহপাঠী, শিক্ষকরা সহযোগিতা করেছে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের পিঠা আমাদের স্টলে রয়েছে। গতবারের চেয়ে আমরা এবার বেশি সাড়া পেয়েছি।’

শিক্ষক তাসমিন তামান্না বলেন, ‘শুধু এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-অভিভাবকরাই নন। গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে এসেছেন। শীতের দিনে দেশের নানা অঞ্চলে পিঠা তৈরি করা আমাদের দেশের ঐতিহ্য। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের কারণে অনেকেই তা করতে পারেন না। পিঠা উৎসবে এসে তারা পিঠার স্বাদও নিতে পারছেন আবার বিভিন্ন পিঠার সঙ্গে পরিচিতও হতে পারছেন।’

পৌর শহর থেকে আসা মেহেদী হাসান বলেন, ‘আগে শীত এলেই বাড়িতে পিঠার আয়োজন হতো। নানা কারণ ও ব্যস্ত জীবনে এখন আর তা হয়ে ওঠে না। এখন শীতে মায়ের হাতের পিঠা খুব মিস করি। তাই পিঠা উৎসবের কথা শুনেই চলে এসেছি।’

প্রতিবারের মতো এবছরও বড় পরিসরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নানা ধরনের মুখরোচক বাহারি পিঠা তৈরি করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবছরের মতো এ বছরও পিঠা উৎসবের আয়োজন করতে পেরে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, “বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ পিঠা। একটা সময় আচার-অনুষ্ঠান কিংবা উৎসব-আয়োজনে পিঠার আধিক্য থাকলেও নগরায়নের প্রভাবে তা আজ হারাতে বসেছে। তাই হারিয়ে যাওয়া নাম না জানা পিঠাগুলোর সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করার জন্যই আমরা প্রতিবছর এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে থাকি। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এ উৎসবগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এমন আয়োজন আমাদের করা উচিত। ” 

এদিকে মাঠজুড়ে সাজানো পিঠার স্টলগুলোর পাশেই বর্ণিল সাজসজ্জায় আয়োজিত হয় সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের অংশগ্রহণে নাচে-গানে পেতে ওঠে সবাই। আয়োজিত এ পিঠা উৎসবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ২৫টি স্টলে অংশ নেয়। এসব স্টলে শতাধিক পিঠা প্রদর্শণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad