দিনাজপুর প্রতিনিধি►
এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ দিনাজপুর স্টাফ রিপোর্টার হুমায়ুন কবির (৬৮) দীর্ঘদিন লিভার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযুগে বাড়ি ফেরার পথে বগুড়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন পুত্র সন্তান রেখে যান।
তিনি সদা হাস্যোজ্জ্বল নিরহংকারী মিশু প্রকৃতির একজন ব্যক্তি ছিলেন। এটিএন বাংলার শুরু থেকেই তিনি দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
তিনি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে জড়িয়েই নিজেকে একজন দক্ষ সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন তার তিনজন ছেলেই অত্যন্ত মেধাবী সবাই দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকত্তোর ডিগ্রি অর্জন করে নিজ প্রতিভা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেছেন তার ছেলেরা।
তিনি দিনাজপুর থেকে একটি অল্পস্বল্প নামের ম্যাগাজিনের উপস্থাপনা পরিকল্পনা ও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার সাথে গত একমাস আগে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল এই প্রতিবেদকের। তিনি মোবাইল ফোনে বলেছিলেন সুলতান আমার জন্য দোয়া করিস ভাই। আমি ফিরে এসে যেন আবার একসাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারি। কিন্তু এরপর তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ গত চার দিন আগে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে জানতে পারি। ভাবি ফোন ধরেছিলেন তিনি বলেছিলেন তোমার ভাই আই সি ইউ তে রয়েছে তোমরা তার জন্য দোয়া করিও।
তিনি লিভার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। আজকেই ডাক্তারদের বোড বসিয়ে পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করেন এবং বলেন আপনারা তাকে ঢাকা থেকে বাড়ী নিয়ে যান ডাক্তারদের পরামর্শেই অ্যাম্বুলেন্স জোগে তাকে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে রওনা হয়েছিলেন। তাকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথেই বগুড়ায় তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর খবর শোনার পর সহকর্মীদের মাঝে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রিয় সহকর্মীকে হারিয়ে দিনাজপুরের সংবাদ কর্মী আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।