নিজস্ব প্রতিবেদক ►
নাঈম বাবা তোমার মোবাইলটা এনা দেও তো, আমার মোবাইলে টাকা নাইতো, মেয়ের সাথে একটু কথা বলি। একটু পরে নাঈমকে মোবাইল দিয়ে মোছা: লিপি বেগম নামের ওই মহিলা বাড়িতে চলে যায়। অভিনব কৌশলে মোবাইল নম্বরটি চলে যায় মোছা: মনি আক্তারের কাছে। এ ধরণে একটি ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ মে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে।
দুইদিন পর অপর প্রান্ত থেকে ওই প্রতারক মনি আক্তার নাঈমকে মোবাইল করে। ফোন রিসিপ করার সাথে সাথে নাঈমকে বলে আমি তোকে ভালোবাসি, তোকে বিয়ে করবো। এ ঘটনাটি সাথে সাথে নাঈম তার বাবা-মাকে জানায়। নাঈমের মা সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল সিম খুলে ফেলতে বলে। নাঈম তাই করে।
ক্ষিপ্ত হয়ে মোছা: লিপি বেগম শহরের রুটি-ভূরিভাজি বিক্রয়কারী আমজাদ নামের এক ব্যাক্তির কাছে স্বরনাপণ্য হন। এদিকে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা রেলওয়ে মাস্টারোলে চাকুরি করেন নাঈম। ডিউটি শেষে ট্রেনযোগে রাত সাড়ে টায় গাইবান্ধা রেলস্টেশনে নামলে আমজাদের লোকজন নাঈমকে মুখ বেঁধে মোবাইল কেরে নিয়ে একটি অটোতে তুলে আমজাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে মোছা: লিপি বেগম ও তার মেয়ে মনি আক্তার, কাজীসহ ৭ থেকে ৮ জন বাড়িতে অবস্থান করছিলো। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একশত পঞ্চাশ টাকা মূল্যেমানের নন জুডিসিয়াল ফাকা ষ্টাম্পে, বিবাহ রেজিস্ট্রার বইয়ে জোরপূর্বক নাঈমের স্বাক্ষর নেন। উল্লেখিত ঘটনা কাউকে বললে তোকে জবাই করে মেরে ফেলা হবে হুমকি দেন আমজাদ হোসেন।
নাঈম পুরো বিষয়টি তার পরিবারের কাছে খুলে বলেন। তাতক্ষনিক ভাবে পরিবারের পক্ষ থেকে নাঈমের পিতা: শফিকুল ইসলাম গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় আরও একটি জিডি করা হয়। যার নম্বর-২৬, তারিখ ১ জুন ২০২৩ইং।¬¬