ভবতোষ রায় মনা►
গাইবান্ধা চার লেন সড়ক থেকে কবে সরবে ২০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি? সড়ক ও জনপথ বিভাগ ক্ষতি পূরণের টাকা পরিশোধ করলেও দীর্ঘ ২ বছরেও বিদ্যুৎ বিভাগ শহরের রেলগেট থেকে পশ্চিম দিকে উত্তর পাশে এবং দক্ষিণ পাশেও কিছু কিছু জায়গায় সড়ক থেকে ১৫-২০টি বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হয়নি। বিশেষ করে হকার্স মার্কেট, ডাকবাংলোর মোড়, সাদুল্লাপুর মোড়, ফকিরপাড়া, পলাশপাড়া, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সড়কে খুঁটি রয়েছে। সম্প্রসারিত সড়কের ভিতরে ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে এসব খুটি স্থানান্তর না করায় প্রতিনিয়ত শহরে লেগে থাকছে যানজট। ঘটছে ছোট বড় দূঘটনা।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শহরের পুর্ব দিকে বড় মসজিদ থেকে পশ্চিমে পুলিশ সুপার কার্যালয় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার চার লেন সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সড়ক নির্মাণে ছয় কোটি ও জমি অধিগ্রহণের জন্য ১১১ কোটি টাকা।
ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স এই কাজের দায়িত্ব পায়। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩০ জুন। তবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিছু কাজ অসমাপ্ত রেখে ২০২২ সালের প্রথম দিকে চার লেনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। এদিকে সড়কটি প্রশস্ত হওয়ায় দুই পাশের বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর প্রয়োজন হয়। এ জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ করে সওজ। কাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘ দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সড়ক থেকে এখনও ১৫-২০টি খুঁটি সরানো হয়নি। এতে প্রতিনিয়ত শহরে লেগে থাকছে যানজট। ঘটছে ছোট বড় দূঘটনা। ব্যবহার করা যাচ্ছে না ফুটপাত। ব্যাহত হচ্ছে সম্প্রসারিত সড়কের সুফল।
এ বিষয়ে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী দীপন মিয়া বলেন, ‘সড়ক থেকে খুঁটি না সরানোর কারণে সেখানকার ব্যবসায়ীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। যেখানে খুঁটি আছে, সেখানে কখনো সড়ক দিয়ে, কখনো দোকানপাট ঘেঁষে যানবাহন চলাচল করছে।’ পলাশপাড়া এলাকার হোসেন আলী বলেন, সড়ক থেকে খুঁটি না সরানোর কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে ভয় লাগে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ট্রাকচালক আমির মিয়া বলেন, মূল সড়ক ঘেঁষে খুঁটি থাকায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। খুঁটির জায়গায় যানবাহন পারাপার করতে যানজট হয়।
গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিয়াস কুমার সেন জানান, দীর্ঘ সময়েও সড়কের মাঝের এসব খুঁটি স্থানান্তর না হওয়ায় জন ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। খুঁটিগুলো স্থানান্তরে বিদ্যুৎ বিভাগকে নিয়মিত তাগাদা দেয়া হচ্ছে।
গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিভাগের (নেসকো-০২) নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আসিফ জানান, জমি সংক্রান্ত জটিলতা ও স্থানীয়দের বাধায় খুঁটি স্থানান্তরে কিছুটা জটিলতার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে।