মাধুকর ডেস্ক►
ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার (১৫ জুন) খুলছে অফিস-আদালত। একই দিনে খুলবে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়।
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরা মানুষের ঢল নামে শনিবার (১৪ জুন)। সড়কগুলোতে চাপ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। রোববার (১৫ জুন) সকালেও অনেকে ঢাকা ফিরেছেন।
ঈদ উদযাপিত হয় গত ৭ জুন। ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হয় বৃহস্পতিবার (৫ জুন)। আর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি শুরু হয় ৩ জুন।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ২২ জুন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৪ জুন, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসাগুলো ২৬ জুন খুলবে।
গত ৬ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে টানা ১০ দিন ছুটির সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ৭ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন যথাক্রমে বুধবার ও বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি এবং দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ১৭ মে শনিবার ও ২৪ মে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার ঘোষণা করে।
ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে এবং উল্লিখিত সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন (১৭ মে ও ২৪ মে) সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছিল, জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এবং চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। আর আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।