আমিনুল হক, ফুলছড়ি►
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া গ্রামে ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে বাঁধে আশ্রিত অন্তত ২১টি পরিবারের ঘরবাড়ি। সোমবার (০৩ জুন) মধ্যরাতে উদাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় উপর দিয়ে তীব্র বাতাসের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে এ ক্ষতি হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মধ্যরাতে হঠাৎ করে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় নদীভাঙ্গন কবলিত বাঁধে আশ্রিতদের। এসময় গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। উপরে যায় বিদ্যুতের খুটি এবং ছিড়ে যায় বৈদ্যুতিক তার। একারণে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অনেকের ঘরের চাল উড়ে যাওয়ায় পরিবারের লোকজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে পলিথিনের ছাউনির করে অবস্থান করছেন। তবে এ ঝড়ে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাত ১২ টার দিকে প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র গতিবেগে ঝড় শুরু হয়। এসময় ঝড়ের গতিবেগে উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া গ্রামের ২১টি অসহায় পরিবারের ঘর-বাড়ি দুমরে মুচরে যায়। নদী ভাঙন শিকার হয়ে বাঁধে আশ্রয় নেওয়া এসব পরিবারের শেষ আশ্রয় টুকু ঝড়ে ভেঙে পড়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সিংড়িয়া গ্রামের তাছলিমা (৫০) বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ ঝড়ে আমার ঘর উল্টে যায়। কোনো মতে অসুস্থ মেয়ে এবং স্বামীকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণে বেঁচে গেছি। আমি দিন আনি দিন খাই, ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি।
ওই গ্রামের দিনমজুর নুরু ইসলাম (৫৫) বলেন, সরকার একটা ঘর দিয়েছিল সেটার চাল একেবারেই উড়ি গেছে। হঠাৎ তুফান এসে মোর বাড়ি-ঘর উল্টে নিয়া গেলো, মোর ঘর-বাড়ি উড়ি গেছে, অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন কিভাবে এই ঘর ঠিক করিম (করবো), এটা নিয়া চিন্তায় পড়ি গেছোম। সরকার সাহায্য করলেই তাহলে ঘর ঠিক করবার পাম (পাব)।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘড় পরিদর্শন করেছে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জগৎবন্ধু মন্ডল। এসময় তিনি বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি অর্থ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব।