মনজুর হাবীব মনজু, মহিমাগঞ্জ►
রেলপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বারখ্যাত গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির প্রথম দিনে উচ্ছ্বসিত জনতার ঢল নেমেছিল আজ (সোমবার, ১০ মার্চ)।
এদিন রাতের প্রথম প্রহরে ও ঢাকামুখী ৮১০ ডাউন ট্রেনটি মহিমাগঞ্জ স্টেশনে প্রথম যাত্রাবিরতি দেয় রাত ১টা ৩০ মিনিটে। এই ট্রেনে ঢাকাগামী প্রথম যাত্রীর হাতে উপহার হিসেবে টিকেট তুলে দেন মহিমাগঞ্জে আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি আন্দোলনের উদ্যোক্তা আহসান হাবীব। পরে নিজেরা যাত্রী না হয়েও একইভাবে অন্য যাত্রীদেরও টিকেট কিনে দেন অনেকেই।
আজ (সোমবার, ১০ মার্চ) বিকেল ৫টায় বুড়িমারীগামী ৮০৯ ডাউন ট্রেনটি মহিমাগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছুলে ট্রেনের পরিচালক, লোকোমাস্টারসহ সকল কর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এলাকার বিভিন্ন বয়সী সহস্রাধিক মানুষ। পরে তাদের সবার জন্য ইফতার বক্স ও পানির বোতল প্রদান করা হয় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে।
এ সময় রেলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান, ওই ট্রেনের পরিচালক রেজাউল করিম এবং মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশনের মাস্টার সোহাগ খান, আনিসুর রহমান ও প্রধান বুকিং সহকারী রায়হান কবির।
এ সময় প্লাটফরমে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সভায় রেল কর্তৃপক্ষ, রেল কর্মী ও এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এতে টেলিকনফারেন্স এ যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন, কোচাশহর ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জহুরুল হক জাহিদ। বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা অধ্যাপক জোবায়েরুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সোহেল, আবু বক্কর সিদ্দিক, রবিউল ইসলাম খাজা, নবিবর রহমান, নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদল নেতা আরিফ হোসেন ইদুল, ছাত্রদল নেতা মোফাজ্জল হোসেন, তানজিমুল ইসলাম তুষার ও মোটর শ্রমিক নেতা আব্দুল হাকিম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি-বাণিজ্যিকসহ নানা কারণে সমৃদ্ধ ও রেলপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার এবং গাইবান্ধা জেলার শিল্পাঞ্চলখ্যাত উপজেলার প্রধান রেল স্টেশন মহিমাগঞ্জে রাজধানী ঢাকাগামী যে কোন একটি ট্রেনের যাত্রাবিরতির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এখানকার মানুষের। রেলপথে ঢাকায় যাতায়াতে এলাকাবাসীর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনা করে রেল কর্তৃৃপক্ষ সোমবার (১০ মার্চ) থেকে মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি কার্যকর করে।