নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের এক নম্বর রেলগেট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা শহরের পৌর শহীদ মিনার চত্বরে এসে জমায়েত হয়। পরে সেখান থেকে বের হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ভাঙচুর চালায় এবং বুলডোজার দিয়ে কার্যালয়টি গুঁড়িয়ে দেয়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব বায়োজিদ বোস্তামী জিমসহ আরও অনেক বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকায় ফ্যাসিবাদের আঁতুরঘর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। তারই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধায় ফ্যাসিবাদের কার্যালয় উচ্ছেদ করছি। আমরা চাই, কোথাও যেন ফ্যাসিবাদের চিহ্ন না থাকে। ছাত্র-জনতা এভাবেই ফ্যাসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা রুখে দেবে।
তারা বলেন, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি রেলওয়ের জায়গায় অবস্থিত। এটি দখলদারিত্বের মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছিল। এই জায়গায় একটি পাবলিক টয়লেট করা হবে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেয়ার পর শহরের থানা পাড়ায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আহসান হাবীব রাজীবের বাসায় বুলডোজার নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। সেখানে বাসার জানালা, কাঁচে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এসময় বুলডোজার দিয়ে গেট ও ওয়াল ভাঙচুর করা হয়। পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে সেখান থেকে ফিরে কর্মসূচি শেষ করে তারা।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ২ নং ট্রাফিক মোড়ে ব্রিফিং করে শিক্ষার্থীরা। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাসুদ মিয়া বলেন, ‘আমরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং আওয়ামী লীগের আসামিদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের জন্য থানায় আল্টিমেটাম দিয়ে এসেছি। এর মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা নতুন কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।’