নিজস্ব প্রতিবেদক►
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণসহ ৮দফা দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন, র্যালি ও স্মারকলিপি কর্মসূচি পালন করেছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর) এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিন বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের কাচারি বাজার এলাকায় গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে একটি র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে এসব দাবিতে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ক্যাব, গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি কে.এম রেজাউল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গেছে। আলু, পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই দ্রুত মানুষের মাঝে স্বস্তি ফেরাতে দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হবে। বাজারব্যবস্থা সংস্কারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, সরকার অনেক বিষয় সংস্কারের কথা বলছে। কিন্তু বাজারব্যবস্থা সংস্কারে হাত দিচ্ছে না। বাজারব্যবস্থা সংস্কার ছাড়া প্রচলিত ব্যবস্থা সচল রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তাই দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান বক্তারা।
এসময় ৮দফা দাবি তুলে ধরেন ক্যাবের নেতৃবৃন্দ। দাবিগুলো হচ্ছে: অসাধু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, নিত্য পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, বাজার অভিযান/মনিটরিং বৃদ্ধি করতে হবে, টিসিবির ট্রাক সেল বাড়াতে হবে, ভোজ্য তেল খোলা বাজারে বিক্রিতাদের কঠোর ভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে, ভোক্তা স্বার্থ দেখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা বিভাগ বা কনজুমারস মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে, সরকার ১ কোটি পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপণ্য দিচ্ছে এর সংখ্যা ১,৫০,০০০০ (দেড় কোটি) করতে হবে এবং আইনে নিষিদ্ধ থাকা বাজারে খোলা ভোজ্য তেল (ড্রামে) বিক্রেতাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সাংবাদিক ইদ্রিসউজ্জামান মোনা, সাংবাদিক রজতকান্তি বর্মন, খায়রুল ইসলাম, সমাজকর্মী সুজন প্রসাদ, রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি তাবারক হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে একটি র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।