নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধায় ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং টেকসই উন্নয়ন অভীস্ট অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারি-বেসরকারি সকল অংশীজন যৌথভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ (বুধবার, ৩০ অক্টোবর) সকালে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসন এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র অনুপ্রেরণায় গঠিত দুর্নীতিবিরোধী প্রায় অধিকাংশ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তা উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালাটি উদ্ধোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: মশিউর রহমান এবং বিভিন্ন সেশন সঞ্চালনা করেন টিআইবি’র কোঅর্ডিনেটর মো: আতিকুর রহমান।
এতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের গুরুত্ব, প্রেক্ষাপট, অন্তভূর্ক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, বাস্তবায়নের প্রধান টুলস এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট পরিচিতি, লক্ষ্যমাত্রা, গুরুত্ব, উপাদানসমূহ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১৬ এর প্রয়োগ কৌশল, বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন করেন এবং তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন।
কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: মশিউর রহমান বলেন, শুদ্ধাচার চর্চা ছাড়া দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি সনাক টিআইবি’কে ধন্যবাদ জানান বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় এ ধরনের আয়োজনের জন্য।
সমাপনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন, সরকারি কর্মচারী হিসেবে সকল সেবা স্বচ্ছভাবে দিতে হবে। যে সেক্টরের সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে সমস্যা বেশী সেই সেক্টরে শুদ্ধাচার চর্চা কম। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে সরকারি এবং বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণের বিদ্যমান ধারনা এবং জ্ঞান আরো সমৃদ্ধ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এ কর্মশালার মাধ্যমে প্রণয়নকৃত কর্মপরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণেরও প্রতিশ্রম্নতি প্রদান করেন।