Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৬-৭-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৩:২৮
  • ৭৬ বার দেখা হয়েছে

কোটা সংস্কারের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কোটা সংস্কারের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তুষার আচার্য্য, রংপুর

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এবং দ্রুততম সময়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ (শনিবার, ৬ জুলাই) বেলা ১২ টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু মুর‍্যালে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মর্ডান মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়ে দু’ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা প্রথা কোটা প্রথা-মানি না মানব না’, ‘কোটা প্রথা বাতিল কর-করতে হবে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’সহ কোটা পুনর্বহালের বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের ওপর হাইকোর্ট যে রায় চাপিয়ে দিয়েছে আমরা সেই রায় মানি না। যারা কোটাধারী মেধাবী পরিচয় দিতে চান, তাদেরকে বলতে চাই, এই পরিচয় খুবই লজ্জার। কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করল আমরা জানি না। সরকারের সিদ্ধান্তকে হাইকোর্ট বাতিল করেছে। আমরা চাইবো সরকারের পক্ষ থেকে যেন আপিল বিভাগে আপিল করা হয়, নয়তো আন্দোলন চলবে। আমরা রাজপথ ছাড়বো না।এ বৈষম্য আমরা কখনো মানব না। ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সে সময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু আজকে হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছেন। হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি।’ 

শিক্ষার্থীরা আরো জানায়,আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম ও ক্লাস বর্জন করবে তারা।সেইসাথে তাদের এই পদযাত্রা ও সমাবেশ চলমান থাকবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবি মেনে না নেয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।

পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর পর থেকেই সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সহ স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad