সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি►
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নির্মাণাধীন হরিপুর-চিলমারি সেতুর সার্টার ভেঙে হাবিবুর রহমান (৪৮) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মাণাধীন সেতুটির সার্টার ভেঙে শ্রমিকের মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মুত্যু হয়।
নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি গ্রামের লাল মোল্লার ছেলে।
এ ঘটনার পর প্রশাসনের উপস্থিতিতে সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএসসিইসির সাথে এলাকাবাসির দীর্ঘ বৈঠকের পর শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭ লাখ টাকাসহ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় হাবিবুর রহমান সকালে এসে কাজে যোগ দেন। অন্যান্য শ্রমিকের সাথে কাজ করার এক পর্যায় হঠাৎ লোহার একটি র্শাটার ভেঙে হাবিবুরের মাথায় পড়ে। এতে অন্য দুইজন শ্রমিক বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলেই হাবিবুরের মৃত্যু হয়। শ্রমিকের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অফিস ঘিরে ফেলে।
খবর পেয়ে উপজেলার সহকারি কমিশনার ভুমি ও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান, থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান ও উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পর লাশের ক্ষতিপুরুন বাবদ ৭ লাখ টাকা রফাদফা করে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।
নিহতের স্ত্রী রেজিয়া বেগম বেগম জানান, কাজ করতে গিয়ে শার্টার ভেঙে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। আমার সংসারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। অফিসাররা মিমাংসা করে দিয়েছে। আমার আর কোন দাবি নাই।
উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন খানের ভাষ্য, কাজ করার এক পর্যায় একটি শার্টার ভেঙে ওই শ্রমিকের মাথায় পড়লে তার মৃত্যু হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দেয়া উপকরণ হিলমেড, বুট ও হান্ডগোল্ফ স্থানীয় শ্রমিকরা পরতে চায় না। সে কারনে দূর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমান বেশি হয়। এটি একটি দূর্ঘটনা। ওই পরিবারটিকে সহায়তা করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৭ লাখ টাকা প্রদান করবেন।
থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, দূর্ঘটনায় মুলত শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সুষ্ঠু ও মনোরম পরিবেশে এলাকাবাসির সাথে কাজ করার প্রত্যয়ে নিহতের পরিবারকে সহায়তা বাবদ ৭ লাখ টাকার রফাদফা করে লাশ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি ও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান বলেন, দূর্ঘটনা জনিত কারনে শ্রমিক হাবিবুরের মৃত্যু হয়েছে। এলাকার পরিস্থিত অত্যন্ত শান্ত রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও নিহত পরিবারের মাঝে সমঝোতা করে দেয়া হয়েছে।