মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু ►
গাইবান্ধা জেলার নদীভাঙন এলাকার মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী অন্যতম। এই এলাকার মানুষ লেখাপড়া করছে অনেক চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করে। নারীদের শিক্ষার জন্য ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভরতখালী বন্দর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাকালে এলাকার মানুষ অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্যদিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানো লক্ষ্যে। বাঁশের ও টিনের ঘরে চলতো কাস। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ভাঙা ঘরে কাস করতো শুরুর দিকে।
১৯৮৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। ফলে স্কুলটি আরো গতিশীলতা লাভ করে এবং চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও আসতে শুরু করে। বর্তমানে সরকারের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গাইবান্ধার বাস্তবায়নে নির্মিত হয়েছে চারতলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন।
এই ভবনের নির্মাণ সন ২০২০-২০২১ হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট এখনও হস্তান্তর করা হয়নি ভবনটি। এই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান সরকার বলেন, ‘ভবনের ভিতরে কিছু কিছু কাজ এখনও সমাপ্ত হয়নি তাই কাজের সমাপ্তির পর অচিরেই হস্তান্তর করবে বলে আশা করা যায়’।
এদিকে এই স্কুলের নতুন ভবনের জন্য শিক্ষার্থীরা বেশ আনন্দিত এবং কবে থেকে নতুন ভবনে কাস করবে সেই অপেক্ষার যেন দিন গুনছে তারা। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, এই স্কুলের রেজাল্ট বরাবরই ভালো এবং করোনার আগে পর্যন্ত পাশের হার ছিলো শতভাগ। করোনার সময় এবং তার পরবর্তীতে পাশের হার অল্প কিছু কমেছে।
তাছাড়া প্রতিবারই দু-চারজন করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে স্কুলের মুখ উজ্জল করছে। ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৫০ জন। তিনি আরো বলেন, এসকেএস ফাউ-েশনের নির্বাহী প্রধান রাসেল আহম্মেদ লিটন এই স্কুলের সভাপতি এবং তাঁর পরামর্শে ও তত্ত্বাবধানে স্কুলের শিক্ষার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।