মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু ►
সম্প্রতি গাইবান্ধা পৌরপার্কে আধুনিক মানের একটি ক্যান্টিন চালু হয়েছে। পার্কের এ ধরনের ক্যান্টিনে বসে খাওয়ার সিস্টেম নাই, দাঁড়িয়ে খেতে হবে অথবা পার্কের বেঞ্চে বসে খেতে হবে। ক্যান্টিনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দোসাহাট’। এ ধরণের নাম কেন জানতে চাইলে ক্যান্টিনের দায়িত্বরত মাহামুদুল হাসান লিটন বলেন, দোসা একটি খাবারের রেসিপি এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এই নামে একটি বিখ্যাত ক্যান্টিন রয়েছে সেখানে যে মানের খাবার পাওয়া যায় আমরা সেরকম খাবার সরবরাহ করার চেষ্টা করছি এবং তাই নাম রেখেছি ‘দোসাহাট’।
গাইবান্ধা পৌরসভার উদ্যোগে এ রকম একটি আধুনিক মানের ক্যান্টিন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই দোসাহাট বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ফুসকা, দই-ফুসকা, চটপটি, আলু-পরাটা, ইন্ডিয়ান ফুড, মেক্সিকান ফুড, চাইনিজ ফাস্টফুড অ্যান্ড জুস, ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ, চিকেন স্যান্ডউইচ, বারবিকিউ স্যান্ডউইচ, বার্গার,নাগা স্যান্ডউইচসহ অন্যান্য স্যুপ, জুস, চা ও কফি সচারচর পাওয়া যাচ্ছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত লিটন বলেন, দাম খুব বেশি নেওয়া হচ্ছে না। বর্তমান বাজারে খুব অল্প লাভে এই দোকানটি চলছে এবং পঞ্চাশ টাকা থেকে সত্তর টাকার মধ্যে বেশিরভাগ আইটেম পাওয়া যায়। পিকে বিশ্বাস রোডের স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল হক টপি বলেন, সন্ধ্যার সময় এই ক্যান্টিনে খুব লোক সমাগম হয় এবং লাইন ধরে কুপনের মাধ্যমে খাবার সংগ্রহ করতে হয়।
জানা যায়, এই ক্যান্টিনটি পরিচালনার জন্য পৌরসভার কাছে যিনি নিয়েছেন তার নামও লিটন এবং তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালীর বাসিন্দা। ক্যান্টিনটির অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে আধুনিক মানের তাই মজাদার খাবারসহ সবদিক দিয়ে শহরের পৌরপার্কে একটা আধুনিক ক্যান্টিন তৈরির ফলে পৌরপার্কের আড্ডা আগের চেয়ে বেশ জমবে বলে জানান, ভিএইড রোড কালিবাড়ী এলাকার শাহীদ আহমেদ (শাহীদ)।