মাধুকর ডেস্ক►
আজ শনিবার (২৯ জুলাই) বেদনাবিধুর সেই ১০ মহররম। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে কারবালার প্রান্তরে মহানবীর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন ও তার পরিবারের সদস্যরা শাহাদাত বরণ করেন বিশ্বাসঘাতকদের হাতে। মর্মান্তিক এ ঘটনাকে স্মরণ করে এদিন বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
আরবি আশারা থেকে আশুরা শব্দটি এসেছে, যার অর্থ ১০। মহররম মাসের ১০ তারিখ ১০টি বড় ঘটনা সংগঠিত হওয়ায় এই তারিখকে আশুরা বলা হয়। আর ইসলাম ধর্ম মতে, এই দিনটির তাৎপর্যও অনেক বেশি। শোকসন্তপ্ত মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি আশুরা বলেও পরিচিত। ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূণ পরিবেশে নানা-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা।
এদিন সকালে ছাড়াও মধ্যরাতে শোক মিছিলের ৩০০ বছরের ঐতিহ্য রয়েছে ঢাকাবাসীর। তবে ২০১৫ সালে হোসেনি দালানে বোমা বিস্ফোরণের পর থমকে যায় সেই রীতি। ৭ বছর পর আবারও সেই সুযোগ পেয়েছে ইমাম হোসাইনের ভক্তকূল। তাই শোক আর প্রতিবাদ প্রকাশে রাস্তায় হাজারো মানুষ। শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত ২টায় পুরান ঢাকার হোসেনি দালানের সামনে থেকে বের হয় শোক মিছিল।
আয়োজক কমিটি জানায়, মূল মিছিল শুরু হবে সকাল ১০টায়। তবে এদিন রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় হতাশ তারা। পবিত্র আশুরার দিনে ঢাকার চার প্রবেশমুখে আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাশাপাশি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি করবে বিএনপি। একই সময়ে সতর্ক অবস্থানে থাকবে ক্ষমতাসীনরা।
আগে সাধারণত কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিন কোনো কর্মসূচি করতো না রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এবার বড় দুদলই মাঠের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, শোক মিছিলকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।