Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১২-৬-২০২৩, সময়ঃ রাত ০৮:১০

দিনাজপুরের শাহীওয়াল জাতের রাজাবাবু প্রস্তুত, ওজন ২৫ মন

দিনাজপুরের শাহীওয়াল জাতের রাজাবাবু প্রস্তুত, ওজন ২৫ মন

সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর ►

দিনাজপুর বিরলের বহলা হাজীপাড়াার  প্রত্যন্ত অঞ্চলের শাহীওয়াল জাতের বিশালাকৃতির কুরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাজাবাবু নামে একটি ষাড়। বিশাল আকৃতির শাহীওয়াল জাতের ষাঁড় রাজাবাবুকে দেখার জন্যই বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী পুরুষেরা ভিড় করছে। এই রাজাবাবু  অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় অনেকেই সেলফি পর্যন্ত তুলে রাখছে।

এই রাজা বাবুর খাবারের মেন্যুতে রয়েছে রাজকীয় খাবার ক্ষুদির চালের ভাত, চপর, ছোলা বুট, জোলা গুড় , ধানের গুড়া ,ভুট্টার গুঁড়া, ব্রান্ড, আপেল, কমলা, কাঁঠাল, আম, ডালের ভুসি, বাশেঁর পাতা, কাঁচা ঘাস প্রতিদিন এই রাজাবাবুর জন্য রাজকীয় খাবার প্রস্তুত করা হয়। রুটিন মাফিক  ২৪ ঘন্টায় ৬ বার খাবার দিতে হয়।  

রাজা বাবুর থাকার ঘরে ঘরের ঠিক মাথার উপরে ফ্যান ঘুড়ছে। রাজা বাবুর গায়ে যেন মসা মাছি না বসতে পারে সেই জন্যই সার্বক্ষনিক স্প্রে করা হয়।  আর প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ বার গোসল করানো হয়।

দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার  বিজোড়া ইউনিয়নের বহলা হাজীপাড়া  গ্রামের বাবু মিয়া নামে এক কৃষক গত দুই বছর আগে স্থানীয় এক গরুর হাট থেকে ১ লক্ষ টাকায় এই শাহীওয়াাল জাতের ষাঁড় গরু টি ক্রয় করে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। 

এরপর থেকেই বড় বোন জিন্নাত আরা  বেগম ও ভাই বাবু মিয়া মিলে জিন্নাত আরা বেগমের বাড়ীতেই একপি টিনের সেডে এই গরুর সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করেন। বাড়ীতে আনার পর থেকেই ষাঁড়টিকে  যত্ন ও ভালবাসা দেওয়ায় অল্প দিনের মধ্যেই বসে চলে আসে। এরপর ষাঢ়টিকে রাজাবাবু নাম দেওয়ায়। এই নাম ধরে ডাকলেই ষাঁড়টি সাড়া দেয়।   

গাড়ে সাত ফিট লম্বা ও সাড়ে পাঁচ ফিট উচ্চতায় এই শাহীওয়াল জাতের গরুর রং লাল। বয়স চারদাঁত হওয়ায় এ বছর কুরবানীর জন্যই সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে তারা জানিয়েছেন। বিশাল আকৃতির এই রাজাবাবুর ওজন ২৫ মন বা ১ হাজার কেজির একটু উপরে বলে দাবি তাদের। প্রতিদিন ৭শত থেকে ৮শত টাকার খাবার এই রাজাবাবুকে খাওয়াাতে হয় ।  এ বছর এই কুরবানীর পশুটির দাম হাঁকছেন ১৩ লক্ষ টাকা।

রাজাবাবুর  মালিক বাবু মিয়া : শাহীওয়াাল জাতের এই রাজাবাবুর নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয়। আমি আমার নিজ সন্তানের  মতোই লালন পালন করছি রাজাবাবু কে। সামনে কুরবানীর ঈদ আসছে । আমার এই বিশালকৃতির  ষাঁড়টি যদি বাড়ী থেকেই বিক্রি করতে চাই। বিভিন্ন এলাকা ক্রেতা আসছে। আমি আমার এই ষাঁড়টি ক্রেতা দেখে পছন্দ করলে দাম কষাকষির মধ্যেই বিক্রি করতে পার। 

বাবু মিয়ার বোন জিন্নাত আরা : ছোট থেকেই আমরা দুই ভাই বোন মিলে এই  রাজাবাবুকে লালন পালন করছি । রাতে উঠে উঠে এই রাজাবাবুর যত্ন নিতে হয়। রাজাবাবুকে বিক্রি করে দিলে মন খারাপ হয়ে যাবে। তারপরও ষাঁড়টিকে বিক্রি করতেই হবে । আশা করছি আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হবে। 

গ্রামবাসী নাইম হাজান বলেন , রাজা বাবু অনেকটা শান্ত স্বভাবের  প্রানী। আমাদের গ্রামের এই বড় ষাড় আগে কেউ করতে পারেনি। মাঝে মধ্যেই এই রাজাবাবুকে দেখতে আসি। ভাল লাগে স্বপ্ন আছে একদিন আমিও এ জাতের একটি ষাঁড় পালন করব। 

দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, এ বছর জলায়  কুরবানীর জন্য ছোট ছোট খামারিরা নিজ উদ্যোগে ২/৪টি করে বিশালাকৃতির কুরবানীর পশু প্রস্তুত করেছেন। বিরল উপজেলার বাবু মিয়া একটি বিশালাকৃতির একটি ষাঁড় কুরবানীর প্রস্তুত করেছেন। এই ষাঁড়টির উপযুক্ত দাম পেলে অন্যান্য খামারাও দুই চারটি করে ষাঁড় প্রস্তুত করতে আগ্রহী হবেন। এছাড়াও এ বছর দিনাজপুরে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার কুরবানীর পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad