নীলফামারী সংবাদদাতা ►
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ব্যস্ততম শহীদ তুলশীরাম সড়কের (টিআর রোড) ওপর ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক একটি ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে। এতে করে এ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনের চালকরা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় করছেন।
জানা গেছে, উত্তর জনপদের একটি বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। এ শহরের বেশ কয়েকটি ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলার মধ্যে একটি হচ্ছে শহীদ তুলশীরাম সড়ক। এ সড়কে সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ি, ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক-বীমার কার্যালয়, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়, অনেকগুলো ইলেকট্রনিকস্ শো-রুম, নিউ শাহজালাল হোটেল ও নাটোর দই ঘরের মতো হোটেল রেস্তোরাঁ রয়েছে।
এছাড়াও এ সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, সৈয়দপুর সরকারি কলেজ, সৈয়দপুর পৌরসভা কার্যালয়, সৈয়দপুর পৌরসভা কমিউনিটি সেন্টার, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, সামাজিক বনায়নও নার্সারি প্রশিণ কেন্দ্র, সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় শ্মশান, কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো। আর পশ্চিম দিক থেকে সৈয়দপুর শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কই এটি। আর সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির পাশে শহীদ ডা. বদিউজ্জামান মার্কেট। ওই মার্কেটের বিপরীতে রয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ঠিক সামনে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ১১ হাজার ভোল্টের একটি ট্রান্সফরমার রয়েছে। গত ৭ জুন ওই উচ্চ মতাসম্পন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমাটি আকস্মিক পুড়ে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নেকসোর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সেখানে একটি ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমা স্থাপন করে। মূলত ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমাটি বসিয়ে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
নেসকোর নীলফামারীর সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিকল ট্রান্সফরমাটির বিপরীতে এখনও নতুন ট্রান্সফরমার বরাদ্দ মেলেনি। তবে দ্রুতই নতুন ট্রান্সফরমা বরাদ্দ মিলবে বলে জানান তিনি। আর তখন ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমাটি সরিয়ে নেওয়া হবে।