Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৪-২-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৮:৪১

গাইবান্ধায় ফুলের বাজার সরগরম

গাইবান্ধায় ফুলের বাজার সরগরম

ভবতোষ রায় মনা ►

ঋতুরাজ বসন্ত শুরু আজ। একই সঙ্গে এদিন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দুই দিনে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ফুলের। ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানানোর অন্যতম উপকরণ এটি। আর ফুল ছাড়া যেন বসন্ত বরণই হয় না। তাই তো ফুলের পসরা নিয়ে বসেছেন গাইবান্ধার ব্যবসায়ীরা।

আবার অনেক ব্যবসারী বলছেন, প্লাস্টিকের ফুলের দাম তুলনামূলক কম। একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয় না। অল্প টাকা বিনিয়োগ করে অনেক দিন এর সুফল ভোগ করা যায়। এখন বড় বড় অনুষ্ঠানগুলো সাধারণত বিভিন্ন পেশাদার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাগুলো অধিক লাভের আশায় প্লাস্টিকের ফুল ব্যবহার করছে। যার প্রভাব পড়েছে ফুল ব্যবসায়।

ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন ঘিরে গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুর, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গড়ে উঠা ফুলের বাগানে ফুটেছে বিভিন্ন জাতের গোলাপ। এ ছাড়া আছে নতুন জাতের রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকা, গ্লাডিওলাসসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল। গাইবান্ধা পৌরশহরের আসাদুজ্জামান মার্কেটে ফুলের দোকান রয়েছে বেশ কয়টি। এসব দোকানে দিনে গড়ে ৫ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হয়। বিশেষ দিনে অনেক দোকানে লাখ টাকার ফুলও বিক্রি হয়। এই মার্কেটে রয়েছে হলুদ গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, লাল ও সাদা গোলাপ, ডালিয়া, টিউলিপ, অর্কিডসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল।

ফুল ব্যবসায়ী মোস্তফা মিয়া বলেন, সারা বছরই ফুলের বেচাকেনা চলে। তবে ভালোবাসা দিবসসহ বিশেষ দিনে বেশি বিক্রি হয়। একই সঙ্গে গ্লাডিওলাস, জারবেরা ও রজনীগন্ধার দামও চড়া। প্রতিটি গোলাপ ৫০ পিচ, জারবেরা ৪০ পিচ, রজনীগন্ধার পিচ ২০, গ্লাডিওলাস ৪০ টাকা দরে একপিচ করে বিক্রি হচ্ছে।

ফুল ব্যবসার বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন দিবসের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফুল ব্যবসায়ী নয়ন বলেন, আমরাতো ফুলের ব্যবসা করি। সেটা কাঁচা হোক বা প্লাস্টিক। যখন যেটার চাহিদা তখন আমরা সেটা বিক্রি করব। তবে এখানে তি কৃষকের। ফুলের চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফুলের চাষ কমে যাচ্ছে। একই জমিতে অন্যান্য ফসলও খুব ভালো হয় না। প্লাস্টিকের ফুলের আমদানি বন্ধ করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

জোগান কম থাকায় দিবসে ফুলের চাহিদা থাকায় ভালোবাসা দিবসের দিন ফুল বিক্রি চড়া থাকবে বলে জানান পাইকারি ফুল বিক্রেতা মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ফুলের দাম বাড়তি। গোলাপ, স্টিক, রজনীগন্ধা, জিপসিসহ সব ফুলের দাম বেড়েছে খুচরা এবং পাইকারি। গোলাপ ৫০-১০০ টাকা করে বিক্রি হবে এবার। 

চকনদী গ্রামের ফুলচাষী আনিছুর রহমান জানান, বিগত ৮ বছর যাবৎ ফুল চাষ করে সংসার চলছে তার। এ বছরে মাত্র ২ বিঘা জমিতে গোলাপ ও গাঁদা ফুল লাগিয়েছেন তিনি। চারা ক্রয়, সার, কীটনাশক, মজুরী (কিষান) খরচসহ ব্যায় হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। ১৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছেন তিনি। 

কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরকার বলেন, এ এলাকার মাটি ফুল উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট উপযোগী হওয়ায় এখান কার মানুষ ফুল চাষ ঝুকে পড়েছে এবং কৃষি বিভাগের প থেকে পর্যাপ্ত তদারকি করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad