Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২২-১-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:১৪

গাইবান্ধায় নিরাপত্তাহীন ৮ ভাই বোন পৈত্রিক ভিটায় গিয়ে লাঞ্ছিত: থানায় অভিযোগ দায়ের

গাইবান্ধায় নিরাপত্তাহীন ৮ ভাই বোন পৈত্রিক ভিটায় গিয়ে লাঞ্ছিত: থানায় অভিযোগ দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক ►

গাইবান্ধা শহরের পলাশপাড়ায় বাংলাদেশ বিমানের সাবেক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ও তার ৭ বোন পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার চাইতে গিয়ে শারীরিক লাঞ্ছনা ও সন্ত্রাসী আক্রমনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে রূপালী বেগম (৪৩) নামে একবোন মারপিটে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খলিলুর রহমান জরুরী বিভাগে এবং বাকিরা স্থানীয়ভবে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এরপর অব্যাহত হত্যার হুমকির মুখে অসহায় হয়ে তারা ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে  গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, মো. আবদুল জলিল সরকার (৬৩), মো. শামীম রহমান( ৪৪), মো. রাকিব মিয়া (৩০), মো. রিফাত মিয়া (২৪), মো. সোয়াত মিয়া (২০), তিশা বেগম(৪০), ঝুমু বেগম (৩৬) ও শারমীন বেগম(২৪)। গতকাল রোববার দুপুরে তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তাদের দূর্দশার চিত্র তুলে ধরে প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চান।

অভিযোগে খলিলুর রহমান বলেন, প্রধান আসামী মো. আবদুল জলিল ও মো. শামীম রহমান তার আপন ভাই ও বাকিরা তাদের সন্তান ও স্ত্রী। বাবা মৃত মতিউল্যা সরকার সোয়া ৫ শতক জমির ওপর পৈত্রিক বসতবাড়ি রেখে যান। তিনি  ও তার ৭ বোন উত্তরাধিকার সূত্রে সেই সম্পত্তির অংশীদার।

তিনি চাকরী সূত্রে ঢাকা এবং বোনরা স্বামীর বাড়িতে থাকার সূযোগে আসামীরা গয়ের জোরে নিজেদের অংশ বাদেও তাদের অংশ জবর দখল করার অপচেষ্টা চালায়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে তারা গত ২০ জানুয়ারী বাড়িতে গিয়ে তাদের প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। সে সময় আসামীরা গালিগালাজের এক পর্যায়ে লোহার রড, পাইপ, লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় তাদের আক্রমণে তিনিসহ রূপালী বেগম, শাওন বেগম ও ভাগ্নি নিশি ও অন্যরা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাদের আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, এখন এই তীব্র শীতের মধ্যে তারা ওই বাড়ির পরিত্যক্ত একটি মিল ঘরে কোন রকমে ঠাঁই নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তবে প্রতিনিয়ত আসামীরা তাদের একা পেলেই মারপিট করছে এবং মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। ওই সম্পত্তিতে তাদের অংশের ওয়ারিশ নামা, খারিজ রশিদ ও মাঠ রেকর্ড থাকার পরও তারা অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে মামলা রেকর্ড করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad